করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি সত্ত্বেও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির জুবায়ের আহমেদ আনসারীর জানাজায় লোক সমাগমের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে না পারায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাদাত হোসেন টিটুকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। জেলার ২ উপজেলার ৭টি গ্রামের বাসিন্দাদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করতে ৭ গ্রামকে লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। শনিবার সন্ধ্যায় গ্রামগুলোতে নির্দেশনার বিষয়ে মাইকিং করে জানিয়ে দেয়া হয়।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে পুলিশ সদরদফতরের এক আদেশে তাকে প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ সদরদফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
লাকডাউন গ্রামগুলো হল- আশুগঞ্জ উপজেলার খড়িয়ালা, বৈগইর, মৈশাইর, সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শান্তিনগর, সীতাহরণ, বড়ইবাড়ি ও বেড়তলা। এই গ্রামের কেউ আগামী ১৪দিন বাড়ি থেকে বের হলেই আইন শৃঙ্খলাবাহীনি কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সরাইল (সার্কেল) মাসুদ রানা জানান, প্রশাসনের নির্দেশে গ্রামের বাসিন্দাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং তা বাস্তবায়নে ৭ গ্রামকে লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে এলাকাগুলোতে সার্বক্ষণিক পুলিশের টহল থাকবে। সেই সাথে এই গ্রামের কাউকে গ্রাম থেকে বের হতে দেয়া হবে না। খোলা থাকবে না কোন কোন দোকানপাট। যে কোন প্রয়োজনে জনপ্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী চিন্তাবিদ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারীর নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। মাদ্রাসার প্রান্তর ছাড়িয়ে জানাযার সারি দীর্ঘ হয় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিস্তৃর্ণ এলাকায়। এতে দেশের বিভিন্ন স্থান এবং জেলার শীর্ষ আলেমরা ছাড়াও মাদ্রাসা ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ যোগ দেন।
Discussion about this post