বিশেষ প্রতিবেদক
শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা দেশের করোনা পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সিলেবাসগুলো সংক্ষিপ্ত করে আনার চিন্তাভাবনা করছেন।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ দীর্ঘায়িত হলে একাডেমিক ক্ষতি থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করা কঠিন হবে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে চলতি শিক্ষাবর্ষের সিলেবাস সংক্ষেপ করে আনার সিদ্ধান্ত নেব।
’জানা গেছে, বাংলাদেশেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী মে মাসের শেষ দিন অথবা জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করছে। এরই মধ্যে, সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা স্থগিত করেছে এবং ভবিষ্যতেও সিলেবাস এবং পরীক্ষা কমিয়ে দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে।প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে পরীক্ষা কাটছাঁট করব। ছুটিকালীন আমরা অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছি। কিছু শিক্ষার্থী সুযোগ-সুবিধাগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে আমাদের চলমান শিক্ষাবর্ষ শেষ করতে হবে।
সুতরাং সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা লাগলে তা করতে হবে।’ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘আমরা এখনও সিলেবাস কমানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। তবে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা সবচেয়ে ভালো বিকল্প হতে পারে।’মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ‘আমরা পশ্চিমবঙ্গের মতো পরীক্ষা ছাড়াই পরবর্তী ক্লাসে আমাদের শিক্ষার্থীদের উন্নীত করার কথা এখনই ভাবছি না। সময়ই আমাদের কাজের পরিকল্পনা নির্ধারণ করবে।’
Discussion about this post