খেলাধূলা ডেস্ক
অভিষেক ম্যাচে বল হাতে মাঠে নামতেই রাঙালেন নাসুম। বাঁহাতি ব্যাটার কাইল মায়ার্সের বিপক্ষে প্রথম ওভারে কোনো রান খরচ করেননি নাসুম। তবে একটি ওয়াইড বল করায় প্রথম ওভারটি মেইডেন পাননি তিনি।
অভিষিক্ত নাসুম আহমেদ দুর্দান্ত বোলিংয়ে কোনো উইকেট না পেলেও ৮ ওভার বল করে ৩ মেইডেনসহ ২ ইকোনোমিতে দিয়েছেন মাত্র ১৬ রান।নাসুমের দারুণ ওভারের পর দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে আসেন মোস্তাফিজুর রহমান।
এ বাঁহাতি পেসারের প্রথম বলটি ছিল মিডল স্টাম্পের ওপর ইনসুইঙ্গার। যা খেলতে গিয়ে পুরোপুরি পরাস্ত শাই হোপ (০)। তার ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। বাংলাদেশ পায় প্রথম সাফল্য।
সেই চাপ পরে ধরে রাখেন তাসকিন, মিরাজরাও। হাত খুলে খেলতে পারেননি ক্যারিবীয় ব্যাটাররা। প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ৩০ রান তুলতে পারে স্বাগতিক দল।
কাইল মায়ার্স আর শামারাহ ব্রুকস শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। দ্বিতীয় উইকেটে ৬১ বল খেলে ৩১ রানের ধীরগতির জুটি গড়েন তারা।
তবে ১১০ রানে ক্যারিবীয়দের ৯ উইকেট তুলে নিয়েও স্বস্তিতে শেষ করতে পারেনি টাইগার বোলাররা। বেশ কয়েকটি ক্যাচ ড্রপের সুবিধা নিয়ে শেষ উইকেট জুটিতে ৪৫ বলে ৩৯ রান তুলে দেন অ্যান্ডারসন ফিলিপ আর জেইডেন সিলস। ফিলিপ ২১ আর সিলস ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
গায়ানায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দেশের ১৩৮তম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে ক্যাপ পেয়েছেন এরই মধ্যে ২২টি কুড়ি ওভারের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা বাঁহাতি এই স্পিনার। আর অভিষেকেই চোখ ধাঁধানো বোলিং করে নজর কেড়েছেন তিনি।
অভিষিক্ত নাসুমের হাতেই প্রথম ওভার তুলে দেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বাঁহাতি ব্যাটার কাইল মায়ার্সের বিপক্ষে প্রথম ওভারে কোনো রান খরচ করেননি নাসুম। তবে একটি ওয়াইড বল করায় প্রথম ওভারটি মেইডেন পাননি তিনি।
এরপর রীতিমত তিনি চেপে ধরেন ক্যারিবীয় ব্যাটারদের। অবিশ্বাস্য শোনালেও সত্য, নাসুম তার প্রথম ৩২ বলে ৩১টিই দিয়েছেন ডট। যার ফলে একদমই হাত খুলে খেলতে পারেননি স্বাগতিক ব্যাটাররা।
৮ ওভার হাত ঘুরিয়ে নাসুম অবশ্য উইকেটের দেখা পাননি। তবে তিনি রান খরচ করেছেন মাত্র ১৬। ৮ ওভারে তিনটিই ছিল মেইডেন। সবমিলিয়ে বলা যায়, অভিষেকটা রাঙিয়েই রাখলেন এই বাঁহাতি। নির্বাচকদের যেন জানিয়ে রাখলেন, সুযোগ দিলে এই ফরম্যাটেও তিনি তুরুপের তাস হতে পারেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ১৪৯/৯ (৪১ ওভার) (ব্রুকস ৩৩, মেয়ার্স ১০,পুরান ১৮, শেফার্ড ৮ ; মুস্তাফিজ ১/৩৪, মিরাজ ৩/৩৬, শরিফুল ৪/৩৪)
Discussion about this post