এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি গত বুধবার বলেন, পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় এমন কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে আছে। কোথাও কোথাও শিক্ষার্থীরা এখনো বাড়ি ফিরতে পারেনি। কতজন পরীক্ষার্থীর বইপত্র বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরীক্ষার্থীদের হাতে বইগুলো পৌঁছানোর পর অন্তত দুই সপ্তাহ প্রস্তুতির জন্য সময় দিতে হবে। তারপর এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া যাবে।
এনসিটিবির দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সিলেট আঞ্চলিক উপপরিচালক সিলেট ও সুনামগঞ্জেই পরীক্ষার্থীদের পাঠ্যবই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছেন। সুনামগঞ্জে পাঠ্যবই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এসএসসি পরীক্ষার্থী ৮ হাজার ১৬৩ জন এবং দাখিল পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৪২৩ জন। আর সিলেটে পাঠ্যবই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এসএসসি পরীক্ষার্থী ৫৩৪ জন এবং ১৪৮ জন দাখিল পরীক্ষার্থী রয়েছে। তবে এই দুই জেলায় এসব পরীক্ষার্থীসহ মাধ্যমিকের অন্যান্য শ্রেণি মিলিয়ে পাঠ্যবই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মোট শিক্ষার্থী এক লাখের কিছু বেশি। হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আগামী রোববারের মধ্যে এসব বই সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলায় পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম।
এদিকে সুনামগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তাঁরা আশা করছেন, ছুটি শেষে আগামী ২০ জুলাই বিদ্যালয় খুললে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে পারবেন।
Discussion about this post