শিক্ষার আলো ডেস্ক
গবেষণাকে অবহেলিত রেখে অনেকটা পাঠদাননির্ভর হয়ে পড়েছে দেশের বেসরকারি খাতের উচ্চশিক্ষা। এমনকি গবেষণা খাতে কোনো অর্থ ব্যয় না করা বা বরাদ্দ না রাখা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাও কম নয়।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ করে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। ২০২০ সালের প্রকাশিত প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে, এই শিক্ষাবর্ষে ১৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা খাতে একটি টাকাও ব্যয় করেনি।
কমিশন প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য মতে, ২০২০ সালে দেশে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ১০৪টি। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চালু ছিল ৯৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওই শিক্ষাবর্ষে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় থাকা ৯৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৫১টিতেই কোনো ধরনের গবেষণা প্রকল্প চলমান ছিল না।
২০২০ সালে গবেষণা খাতে কোনো অর্থই ব্যয় করেনি- এমন বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় রয়েছে সেন্ট্রাল উইমেনস ইউনিভার্সিটি; দি পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ; প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি; বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়; ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ; জেডএইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়; নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়;
দি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স; রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়; সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি; আনোয়ার খান মডার্ন ইউনিভার্সিটি; জেডএনআরএফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস; বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়; ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি; ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ইউনিভার্সিটি অব স্কিল এনরিচমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি।
ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ গণমাধ্যমকে বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হয় না গড়পড়তায় এমন কথা বলা যাবে না। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমের চিত্র খুবই প্রশংসনীয়। গবেষণার জন্য বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও পাচ্ছে অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে কিছু কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার হাল সন্তোষজনক নয়।
Discussion about this post