আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা এক লাখ ৬৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে মৃতের সংখ্যায় সব দেশকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিশ্বে সবচেয়ে পরাক্রমশালী এ দেশটি এখন মৃত্যুপুরী। এ মহামারীতে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছে ৪০ হাজার ৫৮৭ জন। আক্রান্তের দিক থেকেও শীর্ষে অবস্থান দেশটির। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।
শুধু নিউইয়র্কেই মারা গেছে ১৮ হাজার ২৯৮ জন। আলো ঝলমলে শহরটি এখন মৃত্যুপুরী। এদিকে নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন রাজ্যে করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মার্কিন নাগরিকরা লকডাউন তুলে নিতে বিক্ষোভ মিছিল করছেন।
নিউইয়র্কের পরই সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ২০২ জন নিউজার্সিতে, এরপর যথাক্রমে মিশিগানে ২ হাজার ৩৯১, ম্যাসাচুসেটসে ১ হাজার ৭০৬, পেনসিলভানিয়ায় ১ হাজার ২৩৭ ও ক্যালিফোর্নিয়ায় ১ হাজার ১৭৭ জন মারা গেছেন।ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মারা গেছে এক লাখ ৬৫ হাজার ৮৩ জন।
প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২৪ লাখ ৭ হাজার ৬০০ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ছয় লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।
পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, এ পর্যন্ত যত মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল, তার শতকরা ২১ ভাগ মানুষ মারা গেছে। করোনায় আক্রান্তদের শতকরা তিন ভাগের অবস্থা আশঙ্কাজনক আর এমন গুরুতর রোগীর সংখ্যা ৫৪ হাজার ৫৪৭ জন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে এ পর্যন্ত যত মানুষ মারা গেছে তার মধ্যে আমেরিকা এখন সবার শীর্ষে। দেশটিতে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৪০ হাজার ৫৮৭ জন।
এর মধ্যে নিউইয়র্ক শহরে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে। সেখানে গণকবরের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। কোনো কোনো হাসপাতালে লাশ রাখার জায়গা নেই।
এর পরেই রয়েছে ইতালি। সেখানে মারা গেছে ২৩ হাজার ৬৬০ জন। স্পেনে মারা গেছে ২০ হাজার ৪৫৩ জন। ফ্রান্সে ১৯ হাজার ৭১৮, জার্মানিতে ৪ হাজার ৬৪২, ব্রিটেনে ১৬ হাজার ৬০, বেলজিয়ামে ৫ হাজার ৬৮৩, নেদারল্যান্ডসে ৩ হাজার ৬৮৪, চীনে ৪ হাজার ৬৩২ এবং ইরানে ৫ হাজার ১১৮ জন।
এ ছাড়া তুরস্কে এক হাজার ৮৯০ জন, কানাডায় এক হাজার ৫০৯, সুইজারল্যান্ডে এক হাজার ৩৮১ জন ও সুইডেনে এক হাজার ৫৪০, ভারতে আক্রান্ত হয়েছে ১৭ হাজার ৬১৫ জন এবং মারা গেছে ৫৫৯ জন। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত আক্রান্ত ৩ হাজারের কাছাকাছি এবং মারা গেছে ১০১ জন।
Discussion about this post