শিক্ষার আলো ডেস্ক
ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই শিক্ষার্থীকে ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে এ কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহমেদ।
জনসংযোগ সূত্রে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মো. এখলাসুর রহমান। তিনি ভর্তি পরীক্ষার রোল ১৭২২৮ এর পরীক্ষার্থী লিমনের হয়ে প্রক্সি দেন। অন্যজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা রোল ৬২৮২৮ এর পরীক্ষার্থী মোসা. ইশরাত জাহানের হয়ে প্রক্সি দেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী বায়োজিদ খান ভর্তি পরীক্ষা রোল ৩৯৫৩৪ এর পরীক্ষার্থী তানভির আহমেদের হয়ে প্রক্সি দিতে গিয়ে দণ্ডিত হয়েছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘আজ এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রক্সি দেয়ার অভিযোগ তাদের আটক করা হয়। আটকের পড়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করেন তারা। ফলে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক তাদের ১ বছরের দণ্ড প্রদান করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষায় কোন ধরনের জালিয়াতি কিংবা অনৈতিক কাজ করার সুযোগ নেই। এসব দেখভাল করার জন্য সার্বক্ষণিক তদারকি জারি রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা টিম ও বিচক্ষণ শিক্ষকগণ। তাই ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করে পাড় পাওয়ার কোন সুযোগ নেই।’
এর আগে, ২০২১-২২ সেশনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ইউনিটে প্রথম শিফটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনে প্রক্সি দিতে গিয়ে এখলাসুর রহমানকে আটক হন। জয়পুরহাট জেলার আবুল কাশের সন্তান তিনি। সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবন দ্বিতীয় শিফটে প্রক্সি দেয়া অবস্থায় আটক হন বায়েজিদ খান। তিনি ঢাকার জেলার আব্দুস সালামের এ সন্তান। এছাড়া তৃতীয় শিফটে প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক হন ঢাবির ওই ছাত্রী।
Discussion about this post