বিশেষ প্রতিবেদক
দীর্ঘ ছয়মাস ধরে সরকারিকৃত ১৫টি হাইস্কুলের প্রায় চারশত শিক্ষক-কর্মচারীরা না পাচ্ছেন এমপিও না পাচ্ছেন সরকারি বেতন-ভাতা। আত্তীকরণ ও অ্যাডহক নিয়োগ সম্পন্ন হওয়ায় তাদের এমপিও বন্ধ রয়েছে গত ৬মাস আগ থেকে। কিন্তু রাজস্বখাত থেকে বেতন ভাতা প্রাপ্তির সম্পূর্ণ কাজ এখনও শেষ হয়নি। তাই তারা সরকারি বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন । শিক্ষকরা বলছেন তাদের সরকারি বেতন ভাতার প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রাণালয়ে রয়েছে।
শিক্ষকরা বলেন, স্কুলের বেতন-ভাতা রয়েছে বন্ধ। টিউশনিসহ নানা বিকল্প পন্থায় কিছু টাকা উপার্জনের ব্যবস্থা করলেও করোনার লকডাউনে সে সুযোগও বন্ধ হয়ে গেছে।সংসার নির্বাহ করতে গিয়ে ্রএর মধ্যে ধারদেনায় ডুবে আছেন এই অসহায় শিক্ষকগণ! তাই, এই দুর্যোগকালে সরকারিকৃত ১৫টি স্কুলের আত্তীকৃত এসব শিক্ষকদের এমপিও চালু রাখার দাবি রেখেছন। একই সাথে এসব শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক সহায়তা দেয়ার দাবিও জানিয়েছেন তারা।
১৫টি স্কুল হলো: নেত্রকোনার পূর্বধলা জেএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, বারহাট্টা সিকেপি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জের ছাতক বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনার দিঘলিয়া সেনহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গাইবান্ধার ফুলছড়ি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, সাতক্ষীরার শ্যামনগর নকিপুর এইচসি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটির কাউখালী পোয়াপাড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, বিলাইছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল খম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কুমিল্লার দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, নীলফামারী সৈয়দপুর তুলশীরাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়া শংকরপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
সরকারিকৃত মাধ্যমিক সমিতির সভাপতি সুধাংশু শেখর তালুকদার বলেন, স্কুল সরকারি হওয়ার পর এ ১৫টি স্কুলে কর্মরত শিক্ষকদের আত্তীকরণের প্রজ্ঞাপন জারি হয়ে গেছে। তাই গত ছয় মাস আগে এসব শিক্ষকের এমপিও বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু এসব শিক্ষকরা সরকারি বেতন-ভাতা এখনও পাচ্ছেন না। জানা গেছে, তাদের বেতন ভাতা সংক্রান্ত প্রস্তাব এখন পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। এ প্রস্তাব অনুমোদন না হলে আসন্ন রমজান মাস পার করা দুঃসহ হয়ে উঠবে । তাই এসব শিক্ষকদের আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন শিক্ষক নেতারা।
Discussion about this post