উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ প্রাপ্ত ৫৫ শিক্ষার্থী ও ৯ গবেষককে সংবর্ধনা দিল চবি

মাননীয় উপাচার্য বলেন, ‘আমরা দেখেছি জামাল নজরুল স্যারকে; যিনি দেশকে ভালোবেসে উন্নত জীবন ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন।’ তিনি বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এ দেশের লাখো অসহায় মানুষ তোমাদেরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে। তোমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে জনগণের টাকায় পড়াশোনা করেছো। তাই পৃথিবীর যে প্রান্তেই যাও না কেন দেশের মানুষের প্রতি তোমাদের দায়বদ্ধতার কথা ভুলবে না। তোমাদের মতো তরুণরাই পারবে এ বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে সম্মানিত করতে’।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বলতে চাই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যায় গবেষণা; আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে। আপনারা গবেষণা করুন, নতুন নতুন তত্ত্ব আবিষ্কার করুন; বড় বড় জার্নালে প্রকাশ করুন। আর্থিক সমস্যায় পড়লে আমাদের জানাবেন। আমরা আপনাদের সর্বোচ্চ সহায়তা করবো’।

ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টরধারী গবেষণাপত্র প্রকাশক শিক্ষকবৃন্দ হলেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম ও প্রফেসর ড. ফারাহ জাহান, ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস’র ড. তরিৎ কুমার বল, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আতিয়ার রহমান, ফার্মেসি বিভাগের জনাব মোঃ গিয়াস উদ্দীন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. খাদিজা মিতু, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আফতাব উদ্দীন, মার্কেটিং বিভাগের ড. শান্ত বনিক, ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস’র প্রফেসর ড. এস.এম. শরীফুজ্জামান।

স্কোপাস ইনডেক্সড জার্নালে চবির শীর্ষ ৫ প্রকাশকরা হলেন ফার্মেসি বিভাগের সাদ আহমেদ সামি, রসায়ন বিভাগের লাকি দে, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সজিব রুদ্র, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মোঃ আব্দুল কাইউম খান ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগের শাগুফতা মিজান এবং ফিসারিজ বিভাগের ইস্তিউক আহমেদ রুবি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগের আবু তায়েব মঈন।

অনুষ্ঠানে পরিচালক হিসেবে ছিলেন চবি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী তানভীর আহমেদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. রাশেদ মোস্তফা, ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনার পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুন।

এছাড়াও সিইউআরএইচএস এর উপদেষ্টা ও মডারেটর ড. মোঃ মঈন উদ্দীন, প্রফেসর ড. অলক পাল, প্রফেসর ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরী, ড. এম. শাহ নেওয়াজ চৌধুরী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক-গবেষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষার্থী কাবেরী দাস।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ অ্যান্ড হায়ার স্টাডি সোসাইটি (সিইউআরএইচএস) ২০১৯ সাল থেকে উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের যথাযথ দিক নির্দেনা দিতে বিভিন্ন সেমিনার এবং ওয়ার্কশপ আয়োজন করছে।