নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় এ ইউনিটের গ্রুপ-২ থেকে প্রথম হওয়া মু. তানভীর আহমেদের (রোল ৩৯৫৩৪) ফলাফল বাতিল করা হয়েছে। পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক হওয়ায় তার ফলাফল বাতিল করা হয়।
বুধবার (০৩ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তানভীর আহমেদের প্রথম হওয়ার বিষয়ে এ ইউনিটের সমন্বয়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ইলিয়াছ হোসেন বলেন, তার ফল বাতিল করা হয়েছে। তার ওএমআর শিটে কোনো সুপারিশ ছিল না। ফ্রেশ খাতা হিসেবে এসেছে, সেটি মূল্যায়ন করে ফল প্রকাশ করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন কাউকে সন্দেহ হলে তার ওএমআর শিট আলাদা রাখতে হয়। বায়েজিদ খানকে (তানভীরের হয়ে পরীক্ষাদাতা) পরীক্ষা চলাকালীন সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়। সে প্রক্সি দিয়েছে তার প্রমাণ পাওয়ায় কারাগারে পাঠানো হয়। এগুলোর পরও তার ওএমআর আলাদা হয়নি। প্রক্টর দপ্তর থেকেও আমাদের জানানো হয়নি, এই রোল নম্বরধারীর হয়ে প্রক্সি দেওয়ায় একজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ফ্রেশ ওএমআর এসেছে, মূল্যায়ন করে ফল ঘোষণা করা হয়েছিল। এখন সেটি বাতিল করা হয়েছে।
প্রক্সি দিতে এসে আটক হওয়ার পরও ওই ওএমআর বাতিল না হওয়ায় পরীক্ষকের দায় দেখছে ভর্তি উপকমিটি। এজন্য দায়িত্ব অবহেলার কারণে পরীক্ষককে তলব করা হবে।
এ বিষয়ে ভর্তি উপকমিটির সভাপতি ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম বলেন, তার ফল বাতিল করা হয়েছে। পরীক্ষার হলে আটক হওয়ার পরই ওই কক্ষের পরীক্ষক তার খাতা বাতিলের সুপারিশ করবেন এটাই স্বাভাবিক। ওএমআরে কোনো সুপারিশ নেই। এটেনডেন্সে সুপারিশ আছে কি-না জানা নেই। বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এখানে পরীক্ষকের দায় অবশ্যই রয়েছে। পরীক্ষক দায়িত্ব অবহেলার দায় এড়াতে পারেন না। তার ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে এ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, গ্রুপ-২ থেকে মু. তানভীর আহমেদ ৯২.৭৫ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থানে রয়েছেন। এ নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হলে আজ দুপুরে তার ফলাফল বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।আবার ৬২৮২৮ রোল নম্বরধারী ইশরাত জাহানের হয়ে প্রক্সি দিয়ে ২ বছরের কারাদণ্ড প্রাপ্ত হন জান্নাতুল মেহজাবিন। প্রকাশিত ফলাফল অনুসারে তিনিও এ ইউনিটের তৃতীয় শিফটে ৪৬ দশমিক ৯০ পেয়ে ৬ হাজার ৯২১ তম অবস্থানে রয়েছেন।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিন ২৬ জুলাই প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে আটক পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে বায়েজিদ খান একজন। তিনি গ্রুপ-২ এর পরীক্ষার্থী তানভীর আহমেদের হয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
Discussion about this post