শিক্ষার আলো ডেস্ক
ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় দেশ জার্মানি। শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তিসহ নানা দিক দিয়ে এটি সবার পছন্দের তালিকায় এগিয়ে। বিশেষ করে জার্মানির শিক্ষাব্যবস্থা অনেক আধুনিক ও যুগোপযোগী। জার্মানির বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০ লাখের মধ্যে ১২ শতাংশের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। এর অন্যতম কারণ, জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিনা বেতনে উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ ও শিক্ষাবৃত্তির সুবিধা রয়েছে।
জার্মানিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি নানা ধরনের নজরকাড়াসব স্কলারশিপের সুবিধা।
এর মধ্যে অন্যতম হলো হামবোল্ট রিসার্চ ফেলোশিপ।
এই ফেলোশিপের মাধ্যমে আলেক্সান্ডার ভন হামবোল্ট ফাউন্ডেশন সারা বিশ্ব থেকে উচ্চ যোগ্যতাসম্পন্ন গবেষকদের খরচ বহন করে। পাশাপাশি বিভিন্ন স্পনসরশিপ পোর্টফোলিও থেকে পৃথকভাবেও শিক্ষার্থীদের খরচ মেটাতে সহযোগিতা করে থাকে।
সুযোগ-সুবিধা:
জার্মানিতে গবেষণা স্পনসরশিপ থেকে পোস্টডকের সুবিধা।
পোস্টডক্টরাল গবেষকদের জন্য হামবোল্ট রিসার্চ ফেলোশিপ জার্মানিতে গবেষণা পরিচালনা করতে সাহায্য করবে।
মাসিক ফেলোশিপের পরিমাণ ২৬৭০ ইউরো ( বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩ লাখ টাকা) । ফেলোশিপ স্থায়ীত্বকাল ৬ থেকে ২৪ মাস পর্যন্ত।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- সর্বোচ্চ দুই পৃষ্ঠার জীবনবৃত্তান্ত।
- সর্বোচ্চ পাঁচ পৃষ্ঠার গবেষণার রূপরেখা।
- প্রকাশনার সম্পূর্ণ তালিকা।
- নির্বাচিত মূল প্রকাশনার তালিকা এবং মূল প্রকাশনা।
- ডক্টরেট সার্টিফিকেট বা প্রমাণ যে আপনার ডক্টরেট সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বা নিশ্চিতকরণ। এটি পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে শেষ হবে।
- জার্মান ভাষার প্রশংসাপত্র।
আবেদনের যোগ্যতা:
আবেদন করার সময় থেকে চার বছর আগ পর্যন্ত ডক্টরেট ডিগ্রি থাকতে হবে। না থাকলে পোস্ট ডক ফেলোশিপের জন্য আবেদনের অযোগ্য বলে বিবেচিত করা হবে। যদি আবেদন করার ছয় মাসের মধ্যেও ডক্টরেট ডিগ্রি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে যোগ্য বলে বিবেচিত করা হবে।পাশাপাশি আপনার লেখা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একাডেমিক জার্নালও থাকতে হবে।
আবার আপনার যদি গত ১২ বছরের মধ্যে কোনো ডক্টরেট ডিগ্রি থাকে, তাহলে রিসার্চার হিসেবে আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে পাবলিকেশন রেকর্ড থাকতে হবে।
জার্মানির জাতীয়তা থাকা যাবে না। ৬ থেকে ১৮ মাসের বেশি দিন জার্মানিতে থাকতেও পারবেন না। জার্মান ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে।
যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে:
নির্ধারিত সময়ের আগে পূরণকৃত আবেদনপত্র এবং প্রয়োজনীয় কোনো অতিরিক্ত নথি পাঠিয়ে দিতে হবে। আবেদন-প্রক্রিয়া সাধারণত চার থেকে আট মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়। অসম্পূর্ণ বা ভুল আবেদনপত্রগুলো প্রক্রিয়া করতে বেশি সময় নেয় এবং প্রায়ই পরবর্তী নির্বাচন কমিটির বৈঠকে স্থগিত করতে হয়। তাই কোনো ভুল করা যাবে না। আবেদন সফল হলে, নির্বাচিত হওয়ার ২ থেকে ১২ মাসের মধ্যে ফেলোশিপ শুরু করা যাবে। আর আবেদন অসম্পূর্ণ হলে, কতৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্তের কারণগুলো ই-মেইল করে জানিয়ে দিবে। নির্বাচিত হওয়ার প্রায় পাঁচ সপ্তাহ পরে আপনি এবং আপনার হোস্ট আপনার আবেদনের ফলাফলসহ একটি চিঠি পাবেন। ফলাফলে সন্তুষ্ট না হলেও সিদ্ধান্ত আপিল করা যাবে না। তবে যেসব কারণে বাদ পড়েছেন, সেই সব বিষয়ে উন্নতি করে আবারও আবেদন করা যাবে। কিন্তু পুনরায় আবেদন করার আগে ন্যূনতম ১৮ মাস অপেক্ষা করতে হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ : নভেম্বর ৩০, ২০২২ ইং
আবেদন করতে ক্লিক করুন
Discussion about this post