অনলাইন ডেস্ক
হাওরের জেলা হলো সুনামগঞ্জ। আর এই জেলার সৌন্দর্যকে সারাবিশ্বের কাছে তুলে ধরেছে এই অঞ্চলের পর্যটন স্পটগুলোও। তার মধ্য অন্যতম সৌন্দর্যের লীলাভূমি হলো সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওর। এখানকার মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য দেখতে এখানে প্রতিবছর দেশ-বিদেশ থেকে লাখো পর্যটক আসেন।
এখানে ঘুরতে আসা অনেক পর্যটক যেমন নৌকা ভাড়া নিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেন, তেমনি অনেক পর্যটক হাওরে বসে খাবার খেয়ে সেই উচ্ছিষ্ট ফেলে হাওরের সৌন্দর্য নষ্ট করেন। এসব রোধে এ বছর ১২ শর্ত মেনে টাঙ্গুয়ার হাওরসহ তাহিরপুরের বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরতে হবে। সেই শর্ত লঙ্ঘন করলে পর্যটকবাহী নৌযানের নিবন্ধন বাতিল করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রশাসনের জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়-
১। নৌযানের নিবন্ধনপত্র হস্তান্তরযোগ্য নয় এবং সার্বক্ষণিক প্রদর্শনের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে;
২। এ নিবন্ধনপত্র তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন ঘোষিত সময় অনুযায়ী নবায়ন করতে হবে;
৩। নদী/হাওড়/বিল/পুকুরের পানি ও উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের ময়লা, আবর্জনা ও বর্জ্য পদার্থ ফেলা যাবে না;
৪। নৌযানে অবস্থানকালে প্রতিটি নৌযানে সংরক্ষিত ঢাকনাযুক্ত বড় ডাস্টবিনে ময়লা/আবর্জনা ফেলতে হবে এবং নিজ দায়িত্বে ময়লা/আবর্জনা নির্ধারিত স্থানে স্থানান্তর করতে হবে;
৫। নৌযানে লাউডস্পিকার, মাইক প্রভৃতিসহ উচ্চ শব্দ উৎপাদনকারী কোনো ধরনের বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না;
৬। লাইফ জ্যাকেটসহ যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ ব্যতীত নৌযানে ভ্রমণ করা যাবে না। বিরূপ আবহাওয়ায় নৌযানে ভ্রমণ করা যাবে না;
৮। নৌযানে পর্যটকদের জন্য মানসম্মত পরিবেশ তথা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও পর্যাপ্ত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে;
৯। নৌযানে ভ্রমণের সময় কোনো ধরনের অসামাজিক কাজ কিংবা অনৈতিক কাজ কিংবা সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটায় এরূপ কার্যাবলী ঘটানো যাবে না;
১০। স্থানীয় এলাকাবাসীর ভাবাবেগ এবং সামাজিক রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে;
১১। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না;
১২। নৌযানে চলাচলের সময় পর্যটকদের মালামাল রক্ষার বিষয়ে এবং দুষ্কৃতিকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির বলেন, এই ১২ শর্তের মধ্যে যে একটি শর্ত লঙ্ঘন করবে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discussion about this post