শিক্ষার আলো ডেস্ক
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), মেডিকেল কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পর এবার নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) একসঙ্গে ৩৫ জন শিক্ষার্থীই ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ/লেভেল-১ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিইউআরপি ও বিআর্ক কোর্সের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা গেছে, ওই প্রতিষ্ঠানের ৩৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এদের মধ্যে ২৫ জন ছেলে ও ১০ জন মেয়ে।
চলতি বছর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় (এইচএসসি) মোট ২৬৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন ২৬৫ জন। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৪৯ জন। এছাড়া এই ব্যাচ থেকে ১৬ জন শিক্ষার্থী বুয়েটে, ৩৯ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে, ঢাবিতে ৩১ জন, রাবিতে ২৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। ফলে সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে।
সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক গণমাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সৈয়দপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি বিজ্ঞান কলেজ। বরাবরই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে এই কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় এই কলেজের শিক্ষার্থীরা মেধার স্বাক্ষর রাখছে। এ বছর চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েটে এক ব্যাচের ৩৫ জন ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এছাড়া এই ব্যাচ থেকে এ বছর ৩৯ জন মেডিকেলে, ১৬ জন বুয়েটে, ঢাবিতে ৩১ জন, রাবিতে ২৫ জন ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। শিক্ষার্থীদের এই অর্জনে আমরা গর্বিত।আমরা এখানে শিক্ষার্থীদের গ্রিন-ক্লিন লার্নিং পদ্ধতিতে পড়ানোর চেষ্টা করি। এতে সবার মাঝে প্রতিযোগিতা ও মননশীলতা বৃদ্ধি পায়। কলেজের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আমরা এক ধরনের সেতুবন্ধন তৈরি করি। ক্লাসরুমেই সম্পূর্ণ পাঠদান সম্পন্ন করা হয়। শিক্ষার্থীদের যাবতীয় প্রয়োজনীয়তা মাথায় রাখা হয়। তবে শিক্ষার্থীদের ওপর বাড়তি কোনো চাপ দেওয়া হয় না।
অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক বলেন, প্রতি বছরই আমাদের ভালো করার প্রাণান্ত চেষ্টা থাকে। আমরা সেভাবেই শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করে থাকি। করোনাকালেও আমাদের শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস চালু ছিল। এ ব্যাপারে ভালো সহযোগিতা পেয়েছি অভিভাবকদের কাছ থেকেও। শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত চেষ্টায় আমরা ধারাবাহিক সাফল্য দেখাতে পারছি।
Discussion about this post