অনুভূতি প্রকাশ করে দিগন্ত বিশ্বাস বলেন, প্রথম হওয়ার অনুভূতিটাই অন্যরকম, সত্যিই আনন্দের। সকলের অনুপ্রেরণাই আমার এই সফলতার মূল কারণ। সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় আমার এই সাফল্য।
দিগন্ত বিশ্বাস রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটে প্রথম শিফটে ১৫১ তম, অবাণিজ্য শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৮০ তম ও বিজ্ঞান বিভাগের ইউনিটে ৭০ তম হয়েছেন। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার সিরিয়াল ২৫০০ এর পর। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সি’ ইউনিটে তার অবস্থান ২৫০ তম। এছাড়াও চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়ারও ইচ্ছা আছে তার।
তবে শৈশবটা মোটেও সুখকর ছিল না দিগন্ত বিশ্বাসের। মাত্র ৫ বছর বয়সে ২০০৮ সালে বাবাকে হারান। মায়ের স্নেহে আর বড়-বোনের ভালোবাসায় বেড়ে উঠেছেন তিনি। তিনি বলেন, আজকে আমার এই অর্জনের অনুপ্রেরণা আমার মা। মা আমার সব কাজে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। আর বড় ভাই আর বোন সব সময় পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছেন।
দিগন্ত তার পরিবারের তৃতীয় ও সর্ব কনিষ্ঠ সন্তান। তার বাবা ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মাও প্রাথমিকের শিক্ষিকা। বড় ভাই রাজশাহী প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষ করে বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলে চাকরি করছেন এবং বোন একজন আইনজীবী।
তবে এ পর্যন্ত স্মার্টফোন ব্যবহার করেননি দিগন্ত। কথা বলার জরুরি প্রয়োজনে ফিচার ফোন ব্যবহার করতেন তিনি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ইউনিটে ১৫১ তম হওয়ার খবর শোনার পর তার বড় ভাই একটি স্মার্টফোন উপহার দেন।
নবীনদের পরামর্শ দিয়ে দিগন্ত বলেন, যারা ভালো ফল করতে চায় তাদের অবশ্যই প্রথমত সৃষ্টিকর্তার উপর ভরাসা রাখতে হবে। এর পর নিয়ম করে পড়াশোনা করতে হবে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকা। যেন সময়টা কাজে লাগানো যায়।
দিগন্তের মা অর্চনা রানী সরকার বলেন, আমি আজ খুব খুশি। আমি যখন শুনি দিগন্ত প্রথম হয়েছে আমি বিশ্বাস করতে পারিনি।
Discussion about this post