নিজস্ব প্রতিবেদক
৩৪তম ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড ইন ইনফরমেটিক্স (আইওআই) অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের চার প্রতিযোগীর মধ্যে ফারহান আহমদ (রাজশাহীর নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজ) সিলভার পদক, মোহাম্মদ নাফিস উল হক সিফাত (চাঁদপুর সরকারি কলেজ) ও দেবজ্যোতি দাশ সৌম্য (জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ) ব্রোঞ্জ পদক এবং জারিফ রহমান (রাজশাহি ইউনিভার্সিটি স্কুল) সম্মানসূচক উদ্ধৃতি পেয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার ইয়োগিকার্তা শহরে এই অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭-১৫ আগস্ট ৮৮টি দেশ থেকে ৩৫৭ জন প্রতিযোগী এতে অংশ নেন। প্রতি দেশ থেকে সর্বোচ্চ চারজন ও স্বাগতিক দেশ থেকে আটজন এতে অংশ নেয়। ১০ ও ১২ আগস্ট এই দুদিনে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ প্রক্রিয়ার সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন বাংলাদেশ ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড কমিটির সদস্য ড. মো. কায়কোবাদ ও ড. এম. সোহেল রহমান। বাংলাদেশে এই অলিম্পিয়াড আয়োজনে ডাচ-বাংলা ব্যাংক পৃষ্ঠপোষকতা করে।
বাংলাদেশ ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড কমিটি এবার প্রাক-নির্বাচনী প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছিল মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, সিলেট, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রামে। ১৩-১৪ মে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে জাতীয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এই আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড ১৯৮৯ সালে বুলগেরিয়াতে শুরু হয়েছিল। এই দেশের ছেলেমেয়েদের প্রোগ্রামিংয়ে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের অধ্যাপকদের নিয়ে বাংলাদেশ ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
এই কমিটি নিয়মানুযায়ী ২০০৪ সালে গ্রিসে একজন পর্যবেক্ষক পাঠায়। ২০০৬ সালে আমাদের প্রথম দল মেক্সিকোতে আই ও আইতে অংশগ্রহণ করে এরপর নিয়মিত বাংলাদেশের ছাত্ররা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে।
বাংলাদেশের সব অলিম্পিয়াডের প্রথম রৌপ্য পদক ২০০৯ সালে সিটি কলেজের ছাত্র মোহাম্মদ আবীরুল ইসলাম অর্জন করে। ২০১২ সালে বাংলদেশের ছাত্রী বৃষ্টি সিকদার ইতালিতে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় মেয়েদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিবেচিত হয়েছিল।
Discussion about this post