নিজস্ব প্রতিবেদক
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের নিমিত্তে সপ্তাহে ২ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হবে না বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, এতে শিক্ষার্থীরা এনার্জি নিয়ে পড়ালেখা করতে পারবে। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী বছর থেকে সপ্তাহে দুই দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কথা ছিল আমাদের। এখন বৈশ্বিক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট চলছে। এই সময়ে আমরা যেন সাশ্রয় করতে পারি, এ কারণেই এখন থেকে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, এতে আমদের সপ্তাহে পাঁচ দিন ক্লাস হবে। পাঁচ দিনেই আমাদের যে পরিকল্পনা রয়েছে, সে অনুযায়ী আমরা ক্লাস করাব। এ কারণে আমরা মনে করি না যে শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হবে। বরং অন্যান্য কর্মজীবী সপ্তাহে দুই দিন ছুটি পান, তাদের মতো আমাদের শিক্ষকরাও ছুটি পাবেন।
‘‘কারণ শিক্ষকরা অন্যান্যদের তুলনায় বছরে ৫১ দিন বেশি কাজ করেন। সেই শিক্ষকেরা যদি সপ্তাহে দুই দিন ছুটি পান, সেক্ষেত্রে শিক্ষকরা নিজের একটু কাজ করতে পারবেন। একটু বিশ্রাম নিয়ে বাকি পাঁচ দিন তারা আরও উদ্যোমী হবেন। আরও অনেক বেশি এনার্জি নিয়ে কাজ করবেন বলে আমরা মনে করি।’’
এর আগে গতকাল সোমবার বিকেলে দেশের সব ধরনের স্কুল-কলেজের ছুটি দুদিন করে প্রজ্ঞান জারি করে সরকার। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের নিমিত্তে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ শুক্রবার ও শনিবার বন্ধ থাকবে।
ছুটির নির্দেশনার পর শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন করার পরিকল্পনা ছিল এবং সেটি অনুমোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। চলমান অবস্থায় সপ্তাহে দুদিন শুক্র ও শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। কেউ কেউ বলেছিলেন যে বৃহস্পতিবার-শুক্রবার বন্ধ রাখা যায় কী না। কিন্তু আমাদের দেশে অনেক পরিবারের বাবা-মা কর্মজীবী। সেই বিবেচনায় শুক্র ও শনিবার স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
Discussion about this post