নিজস্ব প্রতিবেদক
বেসরকারি মাদ্রাসার প্রভাষকদের পদোন্নতি দিতে কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। এই কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
সোমবার মাদ্রাসা শিক্ষা-১ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এতে স্বাক্ষর করেছেন উপসচিব সুলতানা আক্তার।
প্রজ্ঞাপনের তথ্য অনুযায়ী, কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে। কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশাসন ও অর্থ শাখার পরিচালক এবং এনটিআরসিএর একজন প্রতিনিধি। আর কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের অর্থ শাখার উপপরিচালককে।
প্রজ্ঞপনে বলা হয়েছে, ‘‘গঠিত কমিটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) এর অনুচ্ছেদ ১১.৪ এবং ১৩ অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন; পদোন্নতি প্রদানের ক্ষেত্রে কমিটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) এর অনুচ্ছেদ ১৩ অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতা ও অভিজ্ঞতা নির্ধারণ করবেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ কমিটির আহবায়ক বরাবর পদোন্নতির প্রস্তাব প্রেরণ করবেন; প্রস্তাব প্রাপ্তির অনধিক ৩০ দিনের মধ্যে কমিটি প্রস্তাব নিষ্পন্ন করবেন। ‘’
এতে আরও বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) এর অনুচ্ছেদ ১১.৪ অনুযায়ী উক্ত কমিটি আলিম মাদ্রাসার ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক এবং ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার ক্ষেত্রে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি প্রদানের সুপারিশ করবেন।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) এর অনুচ্ছেদ ১১.৪ আলোকে পদোন্নতির ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ বিবেচনা করা হবে:
(i)এমপিও প্রাপ্তি থেকে জ্যেষ্ঠতা;
(ii) একাডেমিক পরীক্ষার ফলাফল;
(iii) কোনো ফৌজদারী মামলা আছে কিনা;
(iv) উচ্চতর ডিগ্রি (যেমন: এমফিল/পিএইচ.ডি);
(v) গবেষণাকর্ম/স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধ।
নীতিমালার ১৩ অনুযায়ী শিক্ষক কর্মচারীদের জ্যেষ্ঠতা ও অভিজ্ঞতা তাদের সংশ্লিষ্ট পদে প্রথম এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে গণনা করা হবে। তবে এমপিওভুক্তি একই তারিখে হলে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে যোগদানের তারিখ বিবেচনা করা হবে। যোগদানের তারিখও একই হলে জন্মতারিখের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হবে। জন্ম তারিখও এক হলে যার শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশি তিনি জ্যেষ্ঠ হবেন।
Discussion about this post