আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের কাছ থেকে ঋণ নেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত ঋণ মওকুফ ঘোষণা করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার (২৪ আগস্ট) প্রেসিডেন্ট এ ঘোষণা দেন। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
তবে যেসব আমেরিকান বছরে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলারের কম আয় করেন–তারাই কেবল পাবেন এই সুবিধা।
আমেরিকায় (যুক্তরাষ্ট্রে) শিক্ষা খরচ খুবই উচ্চ। প্রায়শই এ ব্যয় মেটাতে ঋণ করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এ পর্যন্ত প্রায় ৪ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন নাগরিকের ওপর রয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি ডলার শিক্ষাঋণের বোঝা।
বাইডেন এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘অনেক শ্রমজীবী ও মধ্যবিত্ত পরিবারকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে আবার শিক্ষাঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু করতে হবে। তাদের ওপর থেকে ঋণের চাপ কমিয়ে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যেই আমার প্রশাসন খুব শিগগিরই একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করবে।’
শিক্ষাঋণ নিয়ে একটা কিছু করতে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের মধ্যে এক বছরের বেশি সময় ধরে মতভেদ চলেছে। তবে মওকুফের চাপ তৈরি করেন, সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের নেতা চাক শুমার এবং এলিজাবেথ ওয়ারেনের মতো প্রগতিশীল ডেমোক্রেটরা।
রয়টার্স বলছে, ঋণ মাফ করে দেওয়ার ফলে শত শত বিলিয়ন ডলার মুক্ত হয়ে যাবে যা দিয়ে বাড়ি কেনা বা অন্যান্য বড় ব্যয়ের দিকে গ্রাহকরা ঝুঁকতে পারে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, বাইডেনের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতির লড়াইয়ে একটি নতুন অসমতা যোগ করবে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে সাংবাদিকদের বলেছেন, মহামারির মতো জাতীয় জরুরি অবস্থার সময় আইনের অধীনে ঋণ ক্ষমা করার আইনী কর্তৃত্ব প্রশাসনের রয়েছে।
Discussion about this post