নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ ( ১ সেপ্টেম্বর ) বৃহস্পতিবার ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) এর প্রতিষ্ঠার ১৯তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন,আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে আমরা চাই শিক্ষাটা হবে আনন্দময়। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হবে আনন্দ নিকেতন।
নতুন কারিকুলাম নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শুধু পড়লাম, মুখস্ত করলাম, পরীক্ষা দিলাম, নম্বর পেলাম, ওটা আর কাজে লাগাতে পারিছ না, সেই শিক্ষা দিয়ে চলবে না। সে জন্য আমরা নতুন কারিকুলাম করেছি প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষায় পরিবর্তন নিয়ে আসছি। আমাদের শিক্ষাক্রম ভীষণ নিরানন্দ শিক্ষা। আনন্দের লেশ মাত্র নেই এর মধ্যে। আপনারা দেখবেন ঘুম থেকে উঠে বেশিরভাগ বাচ্চা স্কুলে যেতে চায় না। আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমে মাধ্যমে আমরা চাই শিক্ষাটা হবে আনন্দময়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হবে আনন্দ নিকেতন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের শিক্ষার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অনেক বেশি নজর দিতে হবে। তবে আমরা যেটি চাই তা হলো, আমাদের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান মনস্ক হবে। প্রযুক্তি বান্ধব শুধু নয় প্রযুক্তি ব্যবহারে ও উদ্ভাবনে দক্ষ হবে, সৃজনশীল ও মানবিক হবে। শুধু যা শিখবে তা শেখার মধ্যে নয়, সেটাকে ভালোভাবে প্রয়োগ করতে শিখবে। শুধু চাকরি খুঁজবেন তা নয় উদ্যোক্তাও হবেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সবগুলো অভিষ্ঠ লক্ষ্য কাজে লাগাতে সামনে যে সময়টা আসছে তা আমাদের কাজে লাগাতে হবে। সবগুলো অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করবার জন্য কাজ করতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। অনেকে বলছেন আজ যারা প্রাথমিকে ঢুকছে তারা যখন কর্ম জগতে প্রবেশ করবে এখকার কর্মজগতের প্রায় শতকরা ৬৫ ভাগ পেশা তখন হয়ত আর থাকবে না। কিন্তু অন্য কাজ তো থাকবে। তখন যে কাজ থাকবে সেই কাজের জন্য এখন নিজেদের তৈরি করি, আমাদের নতুন প্রজন্মকে তৈরি করি। তাহলে তো আর চ্যালেঞ্জ হবার কথা না। চ্যালেঞ্জ হলো নিজেদের তৈরি করা। শেখ হাসিনার বাংলাদেশে তৈরি হতেই হবে। আমরা সে কাজটিই করছি। কাজেই আমি সম্ভাবনার দিকটাই দেখতে চাই, সেটার ওপরই জোর দিতে চাই। কাজেই আমরা সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চাই। এতে যা কিছু দরকার তা হচ্ছে শিক্ষা এবং মানসম্মত শিক্ষা।
Discussion about this post