অনলাইন ডেস্ক
এ বছর বাংলাদেশ থেকে চার হাজার শ্রমিক নেবে দক্ষিণ কোরিয়া, যা গত বছরগুলোর তুলনায় দ্বিগুণ। বুধবার (৩১ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিক্যাব টকে এ কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের চিকিৎসা, প্রযুক্তি ও শিক্ষা খাতে দক্ষতা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে কোরিয়া। এদিকে বিটিএস বাংলাদেশে আসছে কি না, সে বিষয়ে না জানলেও অক্টোবরে কয়েকটি কে-পপ দলকে বাংলাদেশে আনার কথা ভাবছে দূতাবাস বলে জানান তিনি।
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে বিদেশি কর্মী নেয়া বন্ধ করে দেয় দক্ষিণ কোরিয়া। দুই বছর পর ইপিএস-এর মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া আবারও চালু হলে কোরিয়ায় যেতে শুরু করেছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে কূটনীতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ডিক্যাবের আলোচনায় কোরিয়া রাষ্ট্রদূত জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে কোরিয়া থেকে ২০৯ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স বাংলাদেশে এসেছে। চার হাজার কর্মী নেয়া হবে, যা আগের বছরগুলোর তুলনায় দ্বিগুণ।
লি জ্যাং কিউন বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে অন্যতম বড় বিনিয়োগকারী দেশ। প্রতিবছর এ দেশে ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ বাড়ছে দক্ষিণ কোরিয়ার।
এ সময় রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জাতীয় নয়, বরং আন্তর্জাতিক ইস্যু উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এ সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করছে দক্ষিণ কোরিয়া। এ ছাড়া চিকিৎসা ও প্রযুক্তি খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু বৈশ্বিক ইস্যু। আমরা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসন সবসময় চেয়ে আসছি। এটি শুধু মানবিক ইস্যু নয়, এটি মানবাধিকার ইস্যুও।
এদিকে বাংলাদেশে কোরিয়ান ব্যান্ড বিটিএস-এর জনপ্রিয়তায় অবাক হয়েছেন তিনি। তবে বিটিএস বাংলাদেশে আসবে কি না, জানা নেই তার। এদিকে অক্টোবরে বেশ কিছু কে-পপ ব্যান্ডকে দেশে আনার কথা ভাবছে দূতাবাস।
কোরিয়া-বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানে বড় ধরনের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও মনে করে লি জ্যাং কিউন বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামোয় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিতে কোরিয়া কাজ করে যাচ্ছে।
ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈন উদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
Discussion about this post