নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীদের ৫টি হলে অনাবাসিক ও আবাসিক ছাত্রীরা আইডি কার্ড দেখিয়ে যেকোনো হলে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া এবং হলে প্রবেশের সময়সীমা বৃদ্ধিসহ ৮ দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছে ছাত্রলীগ নেত্রীরা।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নিকট স্মারকলিপি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের ছাত্রলীগের নেত্রীরা।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- হলের খাবারের গুণগত মান বৃদ্ধি ও পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার স্থাপন; শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হল প্রশাসনের সদাচরণ নিশ্চিত ও হলের কর্মচারীদের হয়রানিমূলক আচরণ বন্ধ করা; হলে কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া; হলের গেস্টরুম সকাল ৮ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা; দূরের হলগুলোতে যাতায়াতের জন্য বাসের ট্রিপ ও সময়সীমা বৃদ্ধি করা এবং ক্যাম্পাসে যাতায়াতের জন্য সঠিক রিকশা ভাড়া নির্ধারণ করা।
উপাচার্যকে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়- ঢাবিতে বর্তমানে ৫টি মেয়েদের হলেই প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অসঙ্গতি ও অনিয়ম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, হলের ক্যান্টিনে বেশি দামে নিকৃষ্ট মানের খাবার পরিবেশন, চাহিদার তুলনায় বিশুদ্ধ পানির ফিল্টারের অপ্রতুলতা, হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ এবং মেয়েদের হলগুলোতে প্রবেশে নানাবিধ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যা কার্যত শিক্ষার্থীদের তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে ও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। আমরা এসব অসঙ্গতি ও অনিয়মের অবসান চাই। শিক্ষার্থীদের স্বার্থ, অধিকার ও সমস্যার কথা বিবেচনা করে দাবিগুলো বাস্তবায়নের প্রত্যাশা করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- শামসুন নাহার হল ছাত্রলীগের সভাপতি খাদিজা আখতার ঊর্মি, সাধারণ সম্পাদক নুসরাত রুবাইয়াত নীলা, রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকা বিনতে হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অন্তরা দাস পৃথা, বঙ্গমাতা হল ছাত্রলীগের সভাপতি কোহিনূর আক্তার রাখী, সাধারণ সম্পাদক সানজিনা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিয়া সুলতানা কথা, সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল হাওয়া আঁখি, কবি সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগের সভাপতি পূজা কর্মকার ও সাধারণ সম্পাদক রিমা আক্তার ডলি।
Discussion about this post