অনলাইন ডেস্ক
মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) বিকাশ, রকেট ও নগদের মাধ্যমে বেতন তুললে রপ্তানিমুখী কারখানার শ্রমিকদের প্রতি হাজারে ৪ টাকা মাশুল গুনতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার( ২৩ এপ্রিল ) এই নির্দেশনা দিয়েছে।
বর্তমানে সেবাভেদে ১ হাজার টাকা তুলতে ১৫ থেকে ১৮ টাকা খরচ হয়। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের আজকের নির্দেশনার ফলে শ্রমিকেরা অল্প মাশুলে এমএফএস থেকে টাকা উত্তোলনের সুবিধা পাবেন।
নগদসহ সব এমএফএসে পাঠানো বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রপ্তানিমুখী শিল্প-প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য সরকারের বিশেষ ঋণ সুবিধার অর্থ শ্রমিক-কর্মচারীদের ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবের মাধ্যমে প্রদানের নির্দেশ রয়েছে। এই স্কিমের আওতায় বেতন প্রদানের ক্ষেত্রে শ্রমিক-কর্মচারীদের স্বার্থ বিবেচনায় কোনো ক্ষেত্রে শুধু খরচ আদায় ও কোনো কোনো প্রণোদনা প্রদানের নীতি গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ১ হাজার টাকা উত্তোলনে ৮ টাকা মাশুল নেওয়া যাবে। এর মধ্যে ৪ টাকা প্রদান করবে ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক ও ৪ টাকা দেবে ওই শ্রমিক।
করোনার প্রেক্ষাপটে রপ্তানিমুখী কারখানার শ্রমিকদের বেতন দিতে ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছে সরকার। ওই তহবিল পরিচালনার নীতিমালা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নীতিমালা অনুযায়ী, বেতনের টাকা সরাসরি শ্রমিকের হিসাবে পাঠিয়ে দেবে ব্যাংকগুলো। যাঁদের হিসাব নেই, তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও জন্মনিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব খোলার উদ্যোগ নিতে বলা হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বেতন-ভাতা পেতে নতুন করে প্রায় ২৬ লাখ শ্রমিক মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব খুলেছেন। গত ৫ থেকে ২০ এপ্রিল এসব হিসাব খোলা হয়।
নতুন করে শ্রমিকের হিসাব খোলায় শীর্ষে রয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (এমএফএস) বিকাশ। এরপর ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের ‘রকেট”ও ডাক বিভাগের আর্থিক সেবা ‘নগদ’–এ বেশি হিসাব খোলা।
Discussion about this post