সালাহ উদ্দিন মাহমুদ
গ্রাম কি শহর- সর্বত্রই যেন বাড়ছে কিশোর অপরাধ। এদের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেও বিপাকে পড়ছেন প্রতিবেশীরা। একসঙ্গে একদল কিশোর দেখলেই কেমন ভয় ভয় লাগে এখন। এরা বেশিরভাগই মাদকাসক্ত। পরিবারের যথাযথ নির্দেশনা না পেয়ে বখাটে হয়ে যাচ্ছে দ্রুত। ফুলের মতো নিষ্পাপ একটি শিশু কৈশোরে হয়ে উঠছে ভয়ংকর অপরাধী। এরা সঠিক দিকনির্দেশনা না পেয়ে বিগড়ে যাচ্ছে সহজেই। কখনো কখনো এদের পরিবারের কাছে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাওয়া যায় না। উল্টো পরিবার থেকে আসে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। তাই আত্মসম্মানের ভয়ে অনেকেই দেখেও না দেখার ভান করেন।
আমাদের দেশে কিশোর অপরাধ কেন দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে? এরা একটি পরিবার, সমাজ, দেশকে কুরে কুরে খাচ্ছে। পাড়া-মহল্লায় এসব কিশোরের দাপট বা বিশৃঙ্খলায় তটস্থ মানুষ। কেন এমন হচ্ছে? কিশোর অপরাধ কেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে? গভীরভাবে ভেবে দেখার সময় এসেছে। প্রতিনিয়তই সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে। কিশোর গ্যাং কালচার গড়ে উঠছে সর্বত্র। যা পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্য মোটেই সুখকর নয়।
সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করেন, আধুনিক বিশ্বের অসংগঠিত সমাজ ব্যবস্থায় দ্রুত শিল্পায়ন ও নগরায়নের নেতিবাচক ফল হলো কিশোর অপরাধ। পরিবার কাঠামোর দ্রুত পরিবর্তন, শহর ও বস্তির ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ এবং সমাজজীবনে বিরাজমান নৈরাজ্য ও হতাশা কিশোর অপরাধ বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ। অপসংস্কৃতির বাঁধভাঙা জোয়ারও এর জন্য অনেকাংশে দায়ী। পরিষ্কার করে বলতে গেলে, কম বয়সে অপরিমিত টাকাপ্রাপ্তি, অপ্রাপ্তবয়স্কের হাতে স্মার্টফোন, অসৎ সঙ্গ, অতিরিক্ত উচ্চাশা, পারিবারিক হতাশা, রাজনৈতিক সংস্পর্শ ও অপসংস্কৃতির ছোঁয়া কিশোর-কিশোরীদের অপরাধপ্রবণ করে তুলতে পারে।
এদের অপরাধ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বয়সের দিক থেকে তারা সাধারণত ৭-১৬ বছর বয়সী। তবে বিভিন্ন দেশে বয়সের পার্থক্যও লক্ষ্য করা যায়। কোনো কোনো দেশে ১৩-২২ বছর। আবার কোনো দেশে ১৬-২১ বছরকে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া জাপানে ১৪ বছর, ফিলিপাইনে ৯ বছর এবং ভারত, শ্রীলংকা ও মিয়ানমারে ৭ বছরের নিচের বয়সীদের অপরাধ শাস্তিযোগ্য নয়। তবে বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচে কেউ অপরাধ করলে কিশোর অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হয়। তাদের আচরণ ও কাজকে কম অপরাধমূলক মনে করা হয়। ফলে অপরাধের কারণকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। যে কারণে তাদের অপরাধের জন্য শাস্তি না দিয়ে সংশোধনের ব্যবস্থা করা হয়। তাই শীর্ষশ্রেণির অপরাধীরা কিশোরদের টার্গেট করে। প্রাপ্তবয়স্ক অপরাধীর প্রলোভনে কিশোররা এসব অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে।
অপরাধবিজ্ঞানের ভাষায়, এ বয়সের ছেলে-মেয়ের সামনে থাকে অদম্য আশা। জীবন সম্পর্কে থাকে খুব বেশি কৌতূহল। কখনো কখনো প্রতিকূল পরিবেশের কারণে আশাভঙ্গের বেদনায় হতাশার হাত ধরে নৈরাশ্যের অন্ধকারে পতিত হয় তারা। ধীরে ধীরে অপরাধপ্রবণ হয়ে পড়ে। কিশোর অপরাধ পরিবার, সমাজ, দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
কিশোর অপরাধ সম্পর্কে অপরাধবিজ্ঞানী বিসলার বলেছেন, ‘কিশোর অপরাধ হলো প্রচলিত সামাজিক নিয়ম-কানুনের ওপর অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরদের অবৈধ হস্তক্ষেপ।’ আরেকজন অপরাধবিজ্ঞানী বার্ট বলেছেন, ‘কোনো শিশুকে তখনই অপরাধী মনে করতে হবে; যখন তার অসামাজিক কাজ বা অপরাধপ্রবণতার জন্য আইনগত ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়।’ মূল কথা হচ্ছে- বিশেষ ধরনের অস্বাভাবিক ও সমাজবিরোধী কাজ, যা কিশোর-কিশোরীরা সংঘটিত করে তাকে কিশোর অপরাধ বলা যায়।
এরা চিন্তা-ভাবনা না করে আবেগের বশবর্তী হয়ে অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশের কারণে খুব সহজে কম সময়ে প্রভাবিত হয়। এরা উদ্দেশ্যহীনভাবে, কৌতূহলবশত বা নিজেকে মানুষের সামনে ক্ষমতাবান হিসেবে জাহির করার জন্য অপরাধ করে থাকে। অনেক সময় প্রভাবশালী অপরাধীরাও কিশোরদের প্রভাবিত করে। তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে সাহসী হয়ে ওঠে কিশোররা। সমাজের শীর্ষস্থানীয় অপরাধীরা অর্থ ও ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে কিশোরদের উদ্বুদ্ধ করে থাকে। নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য কিশোরদের ব্যবহার করে থাকে।
অনেক সময় অপ্রাপ্ত বয়সে না বুঝেও অপরাধ করে ফেলে। এ ক্ষেত্রে যথাযথ কাউন্সিলিং পেলে শোধরানোর সুযোগ থাকে। আবার কখনো কখনো প্রতিকূল পরিবেশে সামাজিক সংগঠন ও কার্যাবলীর সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরেও সমাজবিরোধী কাজ করে। এরা সামাজিক মূল্যবোধ ও নিয়ম-শৃঙ্খলার তোয়াক্কা করে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজের চিন্তা ও পছন্দকেই সঠিক বলে ধরে নেয়। কেউ কেউ অতি উৎসাহ ও কৌতূহলের বশে উদ্দেশ্যহীনভাবে অসামাজিক কাজ করে। কিংবা অ্যাডভেঞ্চারাস ভেবে অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। তাই যথাসময়ে তাদের সংশোধন করা না হলে ধীরে ধীরে অপরাধপ্রবণতা বাড়তে থাকে।
কিশোর অপরাধ এখন একটি মারাত্মক সামাজিক সমস্যা। অপরাধ জগতে তাদের পদচারণা বেড়েই চলেছে। গ্রামে কিংবা শহরে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত- সর্বত্রই কিশোর অপরাধ গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। এসব অপরাধীদের মধ্যে- জুয়া খেলা, মাদকাসক্তি, মারামারি, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, পরিবহনে টিকিট ছাড়া ভ্রমণ, পরীক্ষায় নকল করা, অ্যাসিড নিক্ষেপ, রাস্তা-ঘাটে ছিনতাই, অপহরণ, খুন, ইভটিজিং, ধর্ষণ, এমনকি অন্যের গাছের ফল ও জমির ফসল চুরি করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
একটু গভীরভাবে খেয়াল করলে দেখা যাবে, কম উন্নত সমাজেও কিশোর অপরাধের ভয়াবহতা বেড়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এ প্রবণতা অকল্পনীয়ভাবে বাড়ছে। বিত্তশালী সমাজের আদরের দুলালদের অ্যাডভেঞ্চারাস অপরাধের পাশাপাশি সমাজে বিদ্যমান হতাশা, নৈরাজ্য আর দারিদ্র্য নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির কিশোরদেরও অপরাধপ্রবণ করে তুলছে। সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোররাও চুরি, ছিনতাই, পকেটমারের মতো অপরাধমূলক কাজ করতে আগ্রহী হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে ভগ্ন পরিবার ও দাম্পত্য কলহ, ভালোবাসা ও নিরাপত্তার অভাব, চরম দারিদ্র্য, বাবা-মায়ের অবহেলা, জোরপূর্বক শিশুশ্রম, খারাপ সঙ্গী, পারিবারিক অস্থিতিশীলতা, বাবা-মায়ের পুনর্বিবাহ, কর্মজীবী মায়ের অযত্ন-অবহেলা, নিঃসঙ্গতা, অতিরিক্ত শাসন, রক্ষণশীলতা, স্বার্থপর রাজনীতির ব্যবহার, নৈতিক শিক্ষার অভাব এবং অপসংস্কৃতির অনুপ্রবেশের কারণেও কিশোররা অপরাধের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।
এসব অপরাধের কারণে সমাজে নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে। এসব কিশোররা বড়দের প্রতি অবাধ্য হচ্ছে, অশোভন আচরণ করছে, পারিবারিক শৃঙ্খলা নষ্ট করছে। শিক্ষকের মতো একজন শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিকেও এরা ক্রিকেট খেলার স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলছে। মাদকের জন্য বাবা-মাকেও হত্যা করছে। সমাজে, পরিবারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে।
সর্বোপরি কিশোরদের অর্থবহ ফুলের মতো নিষ্পাপ জীবনটি ধ্বংস হচ্ছে। নিজের কুসুমাস্তীর্ণ একটি জীবন দুর্গন্ধময় জগতে হারিয়ে যাচ্ছে। আলোকিত একটি জীবন অন্ধকারাচ্ছন্ন ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাই আমাদের এখনই সতর্ক হতে হবে। পরিবারে সচেতনতা বাড়াতে হবে। ‘অন্যের সন্তান গোল্লায় যাক’ বলে তৃপ্তির ঢেকুড় তোলার সুযোগ নেই। নিজের সন্তান কোথায় যায়, কী করে, কার সঙ্গে মেশে- এসব বিষয়ে তদারকি করতে হবে। পরিবারে শিশু-কিশোরকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। অপ্রয়োজনীয় টাকা, ব্যবহারের জিনিস, মোটরসাইকেল- প্রভৃতি উপহার দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সামাজিকভাবেও সতর্ক হতে হবে।
স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। সমাজভিত্তিক মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, সংস্কৃতিকর্মী, এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও সমাজের গণ্যমান্য কয়েকজনকে নিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। তারা পাড়া-মহল্লা, খেলার মাঠ, হাট-বাজার মনিটরিং করবেন। কোথাও কিশোরদের অনাকাক্সিক্ষত বা সন্দেহজনক জটলা বা একতা দেখলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে। স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি বা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
মূল কথা হচ্ছে- অপরাধে যুক্ত হওয়ার আগেই তাকে জীবনের মানে বা গুরুত্ব আস্তে আস্তে বোঝাতে হবে। জীবনকে ভালোবাসতে শেখাতে হবে। আর যদি কোনো কারণে অপরাধে যুক্তও হয়ে যায়, তাহলে টের পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশোধনের ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশে কিশোর অপরাধ সংশোধনের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম চালু আছে। এর মধ্যে ১৯৭৪ সালে কিশোর আদালত এবং টঙ্গীতে কিশোর সংশোধনী প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছে। এ ছাড়া কিশোর হাজত, প্রশিক্ষণকেন্দ্র, প্রবেশন, প্যারোলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য শাস্তির পরিবর্তে সংশোধনের ওপর গুরুত্বারোপ করে অপরাধী কিশোরদের সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনা। এ ক্ষেত্রে কিশোরের পরিবার বা স্বজনকেই ভূমিকা পালন করতে হবে। নিজের চোখে নিজের সন্তানকে নিরপরাধ ভেবে ভবিষ্যৎ অপরাধের দিকে ঠেলে না দিয়ে সংশোধনের ব্যবস্থা করতে হবে। অযাচিত বীরত্বে বাহ্বা দিয়ে কিশোরের অপরাধ উস্কে না দিয়ে দমনের ব্যবস্থা করতে হবে।
তাদের ভয়াবহ পরিণতির কথা চিন্তা করে অন্ধকার থেকে আলোর জগতে ফিরিয়ে আনতে হবে। এর জন্য সরকারি প্রচেষ্টা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নিজেকেও ভূমিকা রাখতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় পারিবারিক বা সামাজিক পাঠাগার গড়ে তুলতে হবে। কিশোরদের বইমুখী করতে হবে। বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় উৎসাহী করতে হবে। সুবিধাবঞ্চিত ও গরিব শিশু-কিশোরদের সুশিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। শিশুর মানসিক বিকাশে বিশেষ নজর রাখতে হবে। সন্তানের ভালো লাগা-মন্দ লাগাকে বিচার করতে হবে। গঠনমূলক পারিবারিক, সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা কোথায় যায়, কী করে- এসব ব্যাপারেও প্রতিষ্ঠানকে নজরদারি করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে একদিন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও খেলাধুলা পরিচালনা করতে হবে। বইপড়া, লেখালেখি, অঙ্কন বা সৃজনশীল কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এ ছাড়া স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন বিভিন্ন রকম ইতিবাচক কর্মসূচি পরিচালনা করতে পারে। যেসব কাজে শিশু-কিশোররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিতে পারে। আমাদের গণমাধ্যমগুলোও শিশুর মানসিক বিকাশের উপযোগী কার্যক্রম পরিচালনা ও অনুষ্ঠান প্রচার করতে পারে। সমাজের সব ভালো কাজে কিশোরদের সম্পৃক্ত করতে হবে। সমাজের গঠনমূলক কাজে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি দেশে পর্যাপ্ত কিশোর অপরাধ সংশোধনকেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে।
মনে রাখতে হবে, একটি জীবনও যেন অন্ধকারে হারিয়ে না যায়। একটি ফুলও যেন অকালে ঝরে না যায়। একটি সম্ভাবনারও যেন অকালমৃত্যু না ঘটে। সে দিকে আমাদের প্রত্যেককে খেয়াল রাখতে হবে। দুষ্টু লোকের দৃষ্টি থেকে নিজের সন্তানকে রক্ষা করতে হবে। অনাকাঙ্ক্ষিত অর্থ ও ক্ষমতার লোভ থেকে সন্তানকে আড়ালে রাখতে হবে। সন্তানের মধ্যে মানবিক বোধ জাগ্রত করতে হবে। আপনার সুদৃষ্টি ও ভালোবাসাই আপনার সন্তানকে কিশোর অপরাধ থেকে দূরে রাখবে। আসুন আমরা সচেতন হই। সমাজকে কিশোর অপরাধমুক্ত করে তুলি। কেননা আমাদের কিশোরদের প্রকৃত মানুষ ও নিরপরাধী করে গড়ে তুলতে পারলেই জাতির উন্নতি অবশ্যম্ভাবী।
লেখক: কবি, কথাশিল্পী ও গণমাধ্যমকর্মী।
Discussion about this post