১৯ বছর আগে মা-বাবার সঙ্গে অ্যাসিডে দগ্ধ হয়েছিল সোনালি খাতুন। তখন তার বয়স মাত্র ১৮ দিন। সেদিন রাতে মায়ের কোলের ঘুমিয়েছিল সে। দুর্বৃত্তদের ছোড়া অ্যাসিডে তার মুখ ও শরীর বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়।
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার কুমিরা পাইলট গার্লস হাইস্কুল থেকে এবার পরীক্ষা দিচ্ছে সোনালী। সে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার নকাটি গ্রামের নুর ইসলাম-খোদেজা দম্পতির সন্তান।
স্থানীয়রা জানান, বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর সঙ্গে সোনালির বাবা নুর ইসলামের বিরোধ চলে আসছিলো। বিরোধের জেরে ২০০২ সালের ১৯ নভেম্বর রাতে দুর্বৃত্তরা তাদের অ্যাসিড নিক্ষেপ করে। এতে তার চোখ-মুখ, মাথা ও ঘাড় ঝলসে যায়।
বাবা-মায়ের সঙ্গে সোনালীকে প্রথমে স্থানীয় মির্জাপুর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা হয়। সোনালীকে ঢাকায় এক বছর উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সোনালী খাতুন জানায়, পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরে খুশি সে। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে সমাজের মূল ধারায় ফিরে অন্যদের সহযোগিতা করবে এমন স্বপ্ন তার।
Discussion about this post