শিক্ষার আলো ডেস্ক
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের দুঃসংবাদ সহ্য করে প্রায় ছয় বছর প্রবাসজীবন যাপন করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। তিনি এসেই বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে নিবেদিত হন।
তাঁর উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বমানচিত্রে গৌরবের আসনে অধিষ্ঠিত।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির জিইসি মোড়ের ক্যাম্পাসে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের এ বাংলা হাজার বছর পরাধীন ছিল। এই সুদীর্ঘ সময় অনেক শাসক বাংলাকে শাসন করেছে। এসব শাসক হিসেবে কখনো স্বাধীন, কখনো পরাধীন ছিল বটে; কিন্তু বাংলার মানুষ কখনো স্বাধীনতা পায়নি, স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার পায়নি।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের পরে বাংলার পরাধীন মানুষের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন শেখ মুজিবুর রহমান। পাকিস্তান শাসনামলের দীর্ঘ ২৩ বছর তিনি বাঙালির অধিকার আদায়ের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন, এমনকি এ কারণে প্রায় ১৩ বছর কারাবরণও করেছেন। তারপর ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে তিনি বাঙালিকে উপহার দিয়েছেন স্বাধীনতা, প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র।
অনুপম সেন বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাওয়া বিধ্বস্ত বাংলাদেশ হবে সোনার বাংলা। আজ আমরা দেখি, তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ করতে চলেছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি অভূতপূর্ব উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে চলেছেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা, ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক, রেজিস্ট্রার খুরশিদুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শেখ মুহাম্মদ ইব্রাহিম ও ব্যবসা-শিক্ষা অনুষদের সহকারী ডিন প্রফেসর এম মঈনুল হক প্রমুখ।
আলেচনা সভা শেষে বাদে জোহর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মঙ্গল কামনায় প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
Discussion about this post