নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সপ্তম চিন্তার চাষ ক্ষুদে গবেষক সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে এর উদ্বোধন হয়। সস্মেলনের আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবী গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘চিন্তার চাষ’।
প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান । সম্মেলন আয়োজন করায় তিনি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, গবেষণা ও উদ্ভাবন যেকোনো দেশ ও জাতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তিনি আরও বলেন, উদার ও মানবিক মূল্যবোধ ধারণ করে স্কুল পর্যায় থেকে শিক্ষার্থীদের গবেষণা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করলে তা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছাতে অবদান রাখবে।
পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করে পরিবেশ, প্রকৃতি ও বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার জন্য উপাচার্য ক্ষুদে গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান।
দিনব্যাপী এই সম্মেলনে বিভিন্ন স্কুলের সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গবেষণাপত্র, ধারণাপত্র ও পোস্টার উপস্থাপন করে।
সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ক্ষুদে গবেষক সম্মেলনের সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান, গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসিনা খান।
সমাপনী অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশ গবেষণায় এখনো পিছিয়ে আছে। কী কারণে পিছিয়ে আছে, তা নিয়ে গবেষণা হওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের গবেষক করে তুলতে চিন্তার চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তাদের প্রচেষ্টায় স্কুল পর্যায় থেকে শিক্ষার্থীরা গবেষণায় মনোযোগী হচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
উদ্বোধনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন `চিন্তার চাষ` এর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শফিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে চিন্তার চাষ এর নির্বাহী পরিচালক এস. এম. মেসবাহ আর রহমান, পরিচালক জাহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকগণ এবং বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post