ক্যারিয়ার ডেস্ক
উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্বজুড়ে চাহিদা রয়েছে আয়ারল্যান্ডের। আন্তর্জাতিক মানসম্মত শিক্ষা এবং ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে আয়ারল্যান্ডে তুলনামূলক খরচ কম হওয়ায় বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ তালিকায় রয়েছে আয়ারল্যান্ডের অবস্থান। যেসব ডিগ্রি অর্জন করা যেতে পারে।
ক. ব্যাচেলর ডিগ্রি, খ. হায়ার ডিগ্রি, গ. মাস্টার ডিগ্রি এবং ঘ. ডক্টরাল বা পিএইচডি ডিগ্রি
সেমিস্টারসমূহ
১. ফল সেমিস্টার : আগস্ট থেকে ডিসেম্বর।
২. স্প্রিং সেমিস্টার : জানুয়ারি থেকে মে।
কোর্সের মেয়াদ
ব্যাচেলর ডিগ্রি তিন থেকে চার বছরের হয়ে থাকে। তবে ভেটেরিনারি মেডিসিন, আর্কিটেকচার, ডেন্টিস্ট এবং মেডিসিনের ক্ষেত্রে ছয় বছর লাগে। মাস্টার ডিগ্রি এক থেকে তিন এবং ডক্টরাল কিংবা পিএইচডি ডিগ্রি তিন থেকে পাঁচ বছর মেয়াদি।
টিউশন ফি
আয়ারল্যান্ডে ব্যাচেলর ডিগ্রির ক্ষেত্রে বছরে ১০ হাজার ৫০০ থেকে ১৫ হাজার ১৫০ ইউরো এবং মাস্টার ডিগ্রির ক্ষেত্রে সাত হাজার ৪০০ থেকে ১৫ হাজার ৭২০ ইউরো টিউশন ফি লাগে।
ভর্তির যোগ্যতা
ক. ব্যাচেলর প্রোগ্রাম
১২ বছরের শিক্ষাজীবন অর্থাৎ এইচএসসি পাস হতে হবে। IELTS-এ ৫.৫ থেকে ৬.০ পয়েন্ট পেতে হবে অথবা TOEFL-এর CBT-তে ২১৩ বা IBTতে ৭৯ থেকে ৮০ পয়েন্ট হতে হবে।
খ. মাস্টার্স প্রোগ্রাম
১৬ বছরের শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করতে হবে। IELTS-এ ৬.০ থেকে ৬.৫ পয়েন্ট পেতে হবে অথবা TOEFL-এর CBT-তে ২১৩ থেকে ২৩৭ বা IBT-তে ৭৯ থেকে ৯৩ পয়েন্ট হতে হবে।
আরও পড়ুন-চীনে চিকিৎসা ও প্রকৌশল পড়াশোনার তথ্য-উপাত্ত
ভর্তি ও ভিসা আবেদন পদ্ধতি-
আইরিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বিদেশি শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারে বছরে একবার। আবেদন করতে হয় ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে। আবার কিছু কিছু কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বছরে দুবারও ভর্তির সুযোগ দেয়। দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভর্তি শাখা’ বরাবর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফিসহ আবেদন করতে হয়।
আবেদন ফি বাবদ ৪৫ থেকে ৯০ ইউরো পাঠাতে হয়। আবেদন করার পর কর্তৃপক্ষ যোগ্য শিক্ষার্থীদের ঠিকানায় ‘অফার লেটার’ প্রেরণ করে। অফার লেটার হাতে পাওয়ার পর ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে ভারতের নতুন দিলি্লর আইরিশ দূতাবাসে, ঠিকানা : 230 Jor Bagh, New Delhi-110003, India। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আয়ারল্যান্ডের দূতাবাস নেই। ফোনেও জেনে নিতে পারেন ভিসা আবেদন ও প্রক্রিয়াসংক্রান্ত তথ্য +৯১-১১ ৪৬২৬৭১৪ নম্বরে ডায়াল করে।
খরচ ও খণ্ডকালীন কাজ
ব্যাচেলর স্তরে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয়ভেদে পুরো কোর্সের টিউশন ফি বাবদ ১০ থেকে ১৫ হাজার ইউরো খরচ হবে। তবে কলেজে পড়াশোনা করতে প্রায় ৩০ শতাংশ খরচ কম হয়। প্রতি মাসে ৩০০ থেকে ৫০০ ইউরো দিয়েই অনায়াসে থাকা, খাওয়া, যাতায়াত ও অন্যান্য খরচ মেটাতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। উল্লেখ্য, এক ইউরো প্রায় ৯২ টাকার সমান। বিদেশি শিক্ষার্থীরা ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াই খণ্ডকালীন কাজের অনুমতি পান। সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ আছে। আর গ্রীষ্মের ছুটিতে তিন মাস ‘ফুল টাইম’ কাজ করা যায়। রেস্টুরেন্ট, দোকান, শপিং মলে কাজ করে ঘণ্টায় সাত থেকে ১২ ইউরো পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।
বৃত্তির সুযোগ
কিছু সংস্থা বিদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তির সুযোগ করে দিচ্ছে। আবার কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ও শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিচ্ছে ভালো ফলের ভিত্তিতে। www.educationireland.ie/study-advice/scholarships.html এই লিংক থেকে জেনে নিতে পারবেন বৃত্তির খবরাখবর।
কয়েকটি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়
১. ডাবলিন সিটি ইউনিভার্সিটি (www.dcu.ie )
২. ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব অ্যায়ারল্যান্ড (www.nuigalway.ie)
৩. ট্রিনিটি কলেজ, ডাবলিন (www.tcd.ie)
৪. ইউনিভার্সিটি কলেজ, ডাবলিন (www.ucd.ie)
৫. রকওয়েল কলেজ (www.rockwellcollege.ie)
৬. গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটি (www.gcd.ie)
৭. অ্যাথোলেন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (www.ait.ie)।
আরো তথ্য পেতে ভিজিট করতে পারেন সাইট দুটিতে- www.educationireland.ie, www.studyinireland.ie
Discussion about this post