নিজস্ব প্রতিবেদক
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২২ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছে চট্টগ্রামের তারুণ্যমুখর বিদ্যাপীঠ চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউর) ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ দল।
৩৬ ঘণ্টার হ্যাকাথন কনটেস্টে বিচারকদের চমকে দিয়ে চট্টগ্রাম শাখায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের দল ‘ঐক্য’।
সম্প্রতি রাজধানী ঢাকায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অডিটোরিয়ামে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস-বেসিস অষ্টমবারের মতো এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
সিআইইউর বিজয়ী দলের ৫ সদস্য হলেন: মো. আসিফ সিদ্দিক (দলনেতা), আদিবা হোসেন দিয়া, রিয়াদুল হক, সামাহ বিনত ফিরোজ ও মো. সাহেদ বিন রফিক। পুরো দলটির তত্ত্বাবধানে ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আসিফ ইকবাল।
প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা মুঠোফোনের একটি অ্যাপের মাধ্যমে গ্রিন হাউস ইফেক্ট এবং পরিবেশের ক্ষতিকর দিকগুলো মানুষের কাছে মুহূর্তে পৌঁছানোর চমৎকার ধারণা উপস্থাপন করেন। কেবল তাই নয়, এই অ্যাপের মাধ্যমে শহরের একটি নির্দিষ্ট এলাকার পরিবেশের ক্ষতিকর মাত্রার ধরন, চিত্রসহ সবকিছুই জানা যাবে নিমিষে।
আয়োজক সূত্র জানায়, এবারের প্রতিযোগিতায় দেশের ৯টি শহর থেকে ২ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী অংশ নেন। সেখানে শীর্ষ ১১০টি প্রকল্প নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় দুই দিনের হ্যাকাথন কনটেস্ট। সিআইইউ দল সেরা ৫০টি দলে অবস্থান করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। আগামিতে নাসার গ্লোবাল কনটেস্টে বাংলাদেশ থেকে লড়াই করার সুযোগ পাবে এ দলের সদস্যরা।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে সিআইইউর উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার মতো বড় আয়োজনে আমাদের ছেলেমেয়েদের এমন সাফল্য-নিঃসন্দেহে দেশে তুখোড় বিজ্ঞানীদের আগমনের খোঁজ দিয়ে যায়। তাদের হাত ধরেই দেশের আইটি সেক্টর নতুন মাত্রায় এগিয়ে যাবে এ প্রত্যাশা আমার।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post