শিক্ষার আলো ডেস্ক
নতুন রূপে সেজেছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ১৫৫ বছরের পুরোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গরীব পাঠশালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শ্রেণিকক্ষগুলোর নামকরণ করা হয়েছে বাঙালি মনীষীদের নামে। পাঠাগারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার। শিশু শ্রেণির কক্ষের চারধারে সাজানো হয়েছে শিশুমনের প্রকৃতি চিত্রকর্ম দিয়ে। বিদ্যালয়টি যেন ‘শিশুদের স্বর্গরাজ্যে’ পরিণত হয়েছে।
বিদ্যালয়টির শিক্ষকেরা বলছেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান ভালো নয় বলে যে গতানুগতিক ধারণা আছে মানুষের মনে, তাদের এই স্কুল তা ভেঙে দিয়েছে। এখানে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে পাঠদান করা হয়; শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ল্যাপটপের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবছর এই স্কুল থেকে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বৃত্তিও পাচ্ছে।
গরীব পাঠশালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজা রহমান বলেন, ‘আমাদের স্কুলটি এমন এক জায়গায় অবস্থিত, যেখানে বেশির ভাগ নিম্ন আয়ের মানুষের বসবাস। শিশুদের ঝরে পড়া রোধ করতে আমাদের শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধ করেন। কোনো শিক্ষার্থী দীর্ঘ সময় স্কুলে না এলে বাড়িতে খোঁজ করা হয়। এ ছাড়া ছাত্রীদের বাল্যবিবাহ রোধে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশেষ ভূমিকা নেয়। বর্তমানে স্কুলে উপস্থিতির হার ৭০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ।’
তবে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর এই বিদ্যালয়ে খেলার জন্য বড় কোনো মাঠ নেই। স্কুলের সামনে শুধু এক টুকরো উঠানের মতো জায়গা আছে, সেখানে খেলাধূলা করে শিশুরা।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বেগম বিথী বলেন, তাঁরা প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিশুবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে সহযোগিতা ও গঠনমূলক দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। এতে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী ভর্তি বেড়েছে।
১৮৬৭ সালে তৎকালীন শিক্ষানুরাগী জমিদার বাঁশি মোহন প্রামাণিক ২৮ শতাংশ জমির ওপর গরীব পাঠশালা নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৭৩ সালে সেটি সরকারি করা হয়। তখন নাম পরিবর্তন করে ‘গরীব পাঠশালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ রাখা হয়। সৌজন্যে- আজকের পত্রিকা
Discussion about this post