অনলাইন ডেস্ক
আমাজন লাকার বা আলিবাবা ড্রপ বক্স এর কথা কমবেশি সবাই জানে। সাধারণত ইউরোপ, আমেরিকা অথবা চীন এর কিছু কোম্পানি তৈরি করে এই সল্যুশন। কিন্তু এবার দামি ওই সল্যুশন আমদানি না করে দেশেই বানিয়ে ফেলেছে এটুআই। পুরো হার্ডওয়ার ডিজাইন থেকে শুরু করে সফটওয়্যার, ফার্মওয়ার ও ওপেন এপিআই কানেক্টিভিটি পুরোটাই।
ই-কমার্স ডেলিভারিতে খরচ অর্ধেকে নামিয়ে আনার এই জাদুকরি ‘ডিজিবক্স’টি এরই মধ্যে লুফে নিয়েছে আলিবাবা’র বাংলাদেশী ব্যবসায় অংশীদার দারাজ। ঢাকার তেজগাঁও, জিগাতলা, মোহাম্মাদপুর, গুলশান, বিসিসি ভবনে এবং চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদে স্থাপনও করে ফেলেছে।
গত মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বাংলাদেশের উদ্ভাবকদের এই সল্যুশনটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উন্মোচন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সেসময় স্থানীয় উদ্ভাবনের স্বনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার পথে এটুআই উদ্ভাবিত ‘ডিজি বক্স’ সেই সক্ষমতার স্বাক্ষর বহন করে বলে মন্তব্য করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আগামীতে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, শেখ কামাল ইনকিউবেটরস এবং শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবগুলোতেও এই ডিজিবক্স স্থাপন করার পরিকল্পনা জানান প্রতিমন্ত্রী।
গত ১ মাস দারাজের এন্ড-মাইল ডেলিভারি দিয়ে প্রায় ৫০০০ গ্রাহক সরাসরি ডিজিবক্স ব্যবহার করেছেন বলে জানিয়েছেন এটুআই একশপ হেড অব ডিজিটাল বিজনেস রেজওয়ানুল হক জামি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশজুড়ে ১১০০ ডিজিবক্স ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তিনি।
এটুআই প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মোহাম্মাদ হুমায়ুনের সভাপতিত্বে ডিজিবক্স উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দারাজ গ্লোবাল সিইও Bjarke মিকেলসন, দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা বিচারক মোস্তাহিদল হক।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ই-মার্সে অর্ডার দেয়ার সময় ডেলিভারি লোকেশন হিসাবে ডিজিবক্স সিলেক্ট করলে ক্রেতার ফোনে আসা কিউআর কোড বা ওটিপি যাবে। সেই গোপন নম্বর দিয়ে দিন রাত্রে যখন ইচ্ছা এটিএম মেশিনের মতো নিজেই পার্সেল সংগ্রহ করে যেকোনো এমএফএস দিয়ে পেমেন্ট করতে পারবেন।
Discussion about this post