শিক্ষার আলো ডেস্ক
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বিশ্বের শীর্ষ ২% বিজ্ঞানীর তালিকায় আবারও স্থান করে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি জলবায়ু বিজ্ঞানী ড. আশরাফ দেওয়ান। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও এলসেভিয়ের যৌথভাবে এ তালিকা প্রকাশ করেছে।
বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনারত আশরাফ দেওয়ান আগেও ২০২০ ও ২০২১ সালে শীর্ষ বিজ্ঞানী ও গবেষকের তালিকায় ছিলেন। অক্সফোর্ডসহ বিশ্বের অনেক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি অতিথি প্রভাষক হিসেবেও পড়িয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি শিক্ষকতা করেছেন।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন গবেষণা সাময়িকীতে তিনি শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন।
ঢাকা শহরের পরিবেশ, বন্যা ও নগরায়নের ওপর তার দুটি বই রয়েছে। তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন, জনস্বাস্থ্য ভূগোল এবং মানুষ-পরিবেশ মিথস্ক্রিয়া নিয়ে দুই দশকের বেশি সময় ধরে গবেষণা করছেন। এ ছাড়াও তিনি বিশ্ব পরিমণ্ডলে অনেক সনামধন্য গবেষণা সাময়িকীর সম্পাদনা পর্ষদের সদস্য।
ড. দেওয়ান সম্প্রতি আন্তর্জাতিক রিমোট সেন্সিং ও ফটোগ্রাম্মেট্রিক সমিতির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
আশরাফ দেওয়ানের জন্ম ও বেড়ে ওঠা পুরান ঢাকায়। তিনি নারিন্দা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোলে স্নাতকোত্তর করেন। ১৯৯৯ সালে একই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। এছাড়া পিএইচডি ও পোস্ট ডক্টরেট করেন জাপান থেকে।
বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানীদের তালিকায় নাম আসা বিষয়ে তিনি বলেন, গবেষক হিসেবে বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পাওয়া নিঃসন্দেহে এটা আনন্দের ব্যাপার। পরপর তিনবার এই তালিকায় থাকার কারণে প্রত্যাশাও বাড়ছে। যদিও আমার গবেষণা কর্মের নব্বই শতাংশ বাংলাদেশ সম্পর্কিত, শীর্ষ বিজ্ঞানীদের তালিকায় আমার নামের পাশে বাংলদেশি হিসেবে প্রতিনিধিত্ব থাকলে খুবই ভালো লাগতো, বিশ্বের দরবারে দেশের সুনাম আরও বাড়তো। যাই হোক, আমি গবেষণার মাধ্যমে দেশের জন্য কাজ করে যেতে চাই। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়।
Discussion about this post