শিক্ষার আলো ডেস্ক
প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গবেষণা ও প্রকাশনা মেলা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী এই মেলা আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ মেলা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ/ইনস্টিটিউট গবেষণা সেন্টারের উদ্ভাবন, গবেষণা ও প্রকাশনাসমূহ তুলে ধরা হবে। একাডেমিয়া ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্ক স্থাপন এবং প্রকাশনা, গবেষণা ও উদ্ভাবন কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষে এ মেলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান উপাচার্য।
আগামী শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
মেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত প্রকাশনাসহ উল্লেখযোগ্য প্রকাশনাসমূহ (যেমন: গ্রন্থ জার্নালের বিশেষ সংখ্যা, গবেষণা প্রকল্প, পোস্টার, ফায়ার, ব্রশিয়ার) প্রদর্শন ও উপস্থাপন করা হবে। মেলায় আশা করা যাচ্ছে ৫৫টি গ্রন্থ, ২৬টি বিশেষ জার্নাল, ২১৬টি গবেষণা প্রজেক্ট, ৬২৪টি পোস্টার এবং ৮৬টি ফ্লাইয়ার/প্রুশিয়ার স্থান পাবে।
উপাচার্য আরো জানান, এই মেলায় অনুষদসমূহের জন্য ১০টি, ইনস্টিটিউটসমূহের জন্য ১টি, প্রকাশনা সংস্থার জন্য ১টি এবং গবেষণা কেন্দ্রসমূহের জন্য ১টি সহ মোট ১৩টি প্যাভিলিয়ন থাকবে। এছাড়া, ১টি কেন্দ্রীয় মঞ্চ থাকবে। মেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, অ্যালামনাই ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন।
মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট এবং সেন্টার অংশগ্রহণ করবে এবং প্রত্যেকের উপস্থাপনা থাকবে। মেলা সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ২২ অক্টোবর উদ্বোধনী দিনে বিকেল ৩টায় কলা, বিজ্ঞান, আইন, বিজনেস স্টাডিজ এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের পৃথক উপস্থাপনা থাকবে।
২৩ অক্টোবর সমাপনী দিনে সকাল ১০টায় জীববিজ্ঞান, ফার্মেসী, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং চারুকলা অনুষদের পৃথক উপস্থাপনা থাকবে। এছাড়া, সকল ইনস্টিটিউটের পক্ষে ১টি এবং গবেষণা কেন্দ্র/ ব্যুরোর পক্ষে ১টি উপস্থাপনা থাকবে।
প্রত্যেক অনুষদের প্যাভিলিয়নের সঙ্গে অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহের ১টি করে স্টল এবং ইনস্টিটিউটের প্যাভিলিয়নের সঙ্গে। প্রত্যেক ইনস্টিটিউটের ১টি করে স্টল থাকবে। গবেষণা মেলায় দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে পানীয় ও খাবারের স্টল থাকবে।
আগামী রোববার মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে কবিতা, রচনা ও ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা এবং শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত প্রত্যেক জার্নালের বিশেষ সংখ্যার শ্রেষ্ঠ আর্টিক্যাল লেখককে সনদ, গ্রেস ও প্রাইজ মানি প্রদান করা হবে। এছাড়া, প্রত্যেক অনুষদ, ইনস্টিটিউট এবং সেন্টার কর্তৃক উপস্থাপিত পোস্টার সমূহের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পোস্টার উপস্থাপনকারীকেও পুরস্কার দেওয়া হবে।
গবেষণা মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য গাড়ি পার্কিং, অভ্যর্থনা তথ্য অভিযোগ কেন্দ্র, প্রাথমিক চিকিৎসা সুবিধা, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা, খাদ্য ও নিরাপদ পানীয় ব্যবস্থা, ওয়াশ রুম সুবিধা, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন দর্শনার্থীদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানসহ সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, রেঞ্জার ইউনিট শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব পালন করবে। গাড়ি পার্কিংয়ের স্থান হচ্ছে। বন্দকার মোকাররম হোসেন বিজ্ঞান ভবন ও সায়েন্স এ্যানেক্স ভবন প্রাণ।
সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষার্থে গবেষণা মেলায় শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের মূল গেইট দিয়ে প্রবেশ এবং সুইমিং পুল সংলগ্ন গেইট দিয়ে প্রস্থান করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন যানবাহন ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না।
Discussion about this post