তানভীর পিয়াল
প্রতিটি মানুষই সম্ভাবনাময়। তাদের ভেতরে সেই সম্ভাবনার স্ফুলিঙ্গটা জ্বালিয়ে দিতে হয় কেবল, বলেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সমাজসেবী সুফি মিজানুর রহমান। ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে (ইডিইউ) আয়োজিত দু’দিনব্যাপী ‘ইন্টার ইউনিভার্সিটি ইঞ্জিনিয়ারিং ডে ২০২২’ এর অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইডিইউ স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং এর উদ্যোগে আজ ২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় পূর্ব নাসিরাবাদস্থ ইডিইউ ক্যাম্পাসে আয়োজিত হয় প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। আগামীকাল ২১ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় পর্দা নামবে জাতীয় পর্যায়ের এ প্রতিযোগিতার।
গেস্ট অব অনারের বক্তব্যে পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মিজান আরো বলেন, শিক্ষকরাই জাতির মেরুদণ্ড। একজন শিক্ষকই পারেন শিক্ষার্থীকে বিশ্বের সর্বোচ্চ আসনে উন্নীত হওয়ার পথে এগিয়ে নিতে। প্রত্যেকের মাঝেই অমিত শক্তি দিয়ে রেখেছেন বিধাতা। অভিভাবক, শিক্ষকই পারেন সেই অমিত শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে। তবে, শিক্ষার্থীদের মাঝেও থাকতে হবে ইচ্ছে ও প্রচেষ্টা। বিশ্বজয়ের ইচ্ছে মনের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে এবং নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করে যেতে হবে। সফলতার একমাত্র সূত্র এটিই।
উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তুলনায় আমরা কোনো দিকেই কম মেধাবী নই। সেরা হতে সম্পদের প্রাচুর্য নয়, প্রয়োজন মেধার বিকাশ।
বিশ্বমঞ্চে আমরাও বিজয়ের নিশান উড়িয়েছি। তাই বাংলাদেশি হিসেবে হীনম্মন্যতায় ভোগার কিছু নেই। নাগরিক উন্নত হলে দেশও উন্নত হয়।
স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিন প্রফেসর ড. নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান। তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ শিল্প বিপ্লবে যাতে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দিতে পারে, তার জন্য আমরা শুরু করছি ইডিইউ ফিউচার ফ্যাক্টরি। রোবট, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, স্মার্ট মেশিন, অগমেন্টেড রিয়েলিটি, ইন্টারনেট অব থিংস, ব্লক চেইন ডেটা- এ ধরনের এডভান্স প্রযুক্তিতে সেরা হয়ে ওঠার জন্য চর্চা ও অনুশীলনের প্লাটফর্ম দিচ্ছে ইডিইউ।
এতে অংশ নিচ্ছে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪১টি দল। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড সায়েন্স, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম এবং ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি।
দু’দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় হ্যাকাথন, প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, আইডিয়া কনটেস্ট, ম্যাথ অলিম্পিয়াড, ইঞ্জিনিয়ারিং অলিম্পিয়াড, রোবটিক্স কম্পিটিশন, পোস্টার প্রেজেন্টেশন- এই ক্যাটাগরিগুলোতে প্রতিযোগীরা মেধার লড়াইয়ে উপনীত হবে।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সামস-উদ দোহা, রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়াসহ সকল ডিন, শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
Discussion about this post