আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মাত্র ৪৫ দিন দায়িত্ব পালন করেই প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। এক সপ্তাহের মধ্যে কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা হবে। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন তিনি।
কেন এত কম সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হলো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসকে?
লিজ ট্রাস ক্ষমতায় আসার মাত্র তিন সপ্তাহ পর মারাত্বক একটি ভুল করে বসেন। তিনি তার অর্থমন্ত্রী কাওয়াসি কাওয়ারতেংকে দিয়ে ৪৫ বিলিয়ন ডলার কর ছাড় দেওয়ার একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। যেটিকে তারা ‘মিনি বাজেট’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। কিন্তু তাদের এ মিনি বাজেটের কারণে টালমাটাল হয়ে যায় যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি। মার্কিন ডলারের বিপরীতে ব্রিটিশ পাউন্ডের রেকর্ড দরপতন হয়।
এ সিদ্ধান্তের কারণেই লিজ ট্রাসের প্রধানমন্ত্রিত্ব হুমকির মুখে পরে যায়। তার নিজ দলের সদস্যরা তার বিরুদ্ধে যান। বিভিন্ন নাটকীয়তা শেষে তাকে শেষমেষ বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করতে হলো।
অবস্থা বেগতিক দেখে গত সপ্তাহে কাওয়াসি কাওয়ারতেংকে অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করতে বাধ্য হন লিজ ট্রাস। এরপর নতুন অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন জেরেমি হান্ট। তিনি দায়িত্ব নিয়ে ট্রাস-কাওয়াসির অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাতিল করে দেন। কিন্তু পরিকল্পনা বাতিল করলেও যে ক্ষতি লিজ ট্রাস করে ফেলেন সেটি আর কাটিয়ে ওঠতে পারেননি।
লিজ ট্রাসের নিজ দলের বেশ কয়েকজন সদস্য প্রকাশ্যে তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানান। এরপর বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান পদ্ত্যাগ করলে ট্রাসের পদত্যাগ ত্বরান্বিত হয়।
লিজ ট্রাস রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শাসনামলের শেষ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাকে নিয়োগ দেওয়ার দুইদিন পরই এলিজাবেথ মারা যান।
সদ্যই সাবেক প্রধানমন্ত্রী হওয়া লিজ ট্রাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে অর্থনীতিবীদ হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। তিনি শেল এবং ক্যাবল ওয়্যারসে চাকরি করেন। তিনি ২০০০ সালে হিসাবরক্ষক হিউগ ও’লেরিকে বিয়ে করেন। তাদের দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। তার পরিবার বাস করেন নরফোকের থেটফোর্ডে।
সূত্র: বিবিসি
Discussion about this post