নিজস্ব প্রতিবেদক
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে শিক্ষকদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। নির্দেশনা অনুযায়ী, সারা দেশের সরকারি ও বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধু বাছাই এবং তথ্য উপাত্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
আজ রোববার ( ২৩ অক্টোবর ) মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত জরুরি নির্দেশনায় বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ‘কনটেন্ট’ ও ‘ফ্রেন্ড’ সিলেকশনে সতর্কতা অবলম্বন এবং অপ্রয়োজনীয় ট্যাগ, রেফারেন্স বা শেয়ার করা পরিহার করতে হবে শিক্ষকদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার বা নিজ অ্যাকাউন্টের ক্ষতিকারক কনটেন্টের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মচারী ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন এবং সে জন্য প্রচলিত আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে সরকার বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক ও শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী কোনোরকম তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা থেকেও বিরত থাকতে হবে।
এছাড়া কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন বা ধর্মনিরপেক্ষতা নীতি পরিপন্থী কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে, এমন কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, মন্তব্য, লাইক, শেয়ার করা থেকেও বিরত থাকতে হবে। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো সার্ভিসকে হেয়প্রতিপন্ন করে, এমন কোনো পোস্ট দেওয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে। লিঙ্গবৈষম্য বা এ সংক্রান্ত বিতর্কমূলক কোনো তথ্য–উপাত্তও শেয়ার করা যাবে না।
বিজ্ঞপ্তি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে, এমন বিষয়ে লেখা, অডিও বা ভিডিও প্রকাশ বা শেয়ার করা যাবে না। ভিত্তিহীন, অসত্য বা অশ্লীল তথ্য প্রচার থেকেও বিরত থাকতে হবে। অন্য কোনো রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কেও বিরূপ মন্তব্য সংবলিত কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, মন্তব্য, লাইক, শেয়ার করা যাবে না।
এছাড়া মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত যে সকল শিক্ষক-কর্মচারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তথা ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ খুলেছেন, সে সব গ্রুপের সকল গ্রুপ অ্যাডমিনকে গ্রুপে কনটেন্ট, পোস্ট অনুমোদনের ক্ষেত্রে সরকারি আইন, বিধি প্রতিপালন করতে হবে।
এসব নির্দেশনা না মানলে প্রচলিত আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) ২০২০ সালের জরিপ অনুযায়ী, দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে প্রায় ৪ লাখ শিক্ষক আছেন।
Discussion about this post