শিক্ষার আলো ডেস্ক
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াকোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) বিষয়ভিত্তিক র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের হয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাংকিং মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান কিউএস গতকাল বুধবার (২৬ অক্টোবর) তাদের ওয়েবসাইটে এই র্যাংকিংয়ের তথ্য প্রকাশ করেছে।
কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিংয়ে স্থায়িত্বের বৈশিষ্ট্যে ৭০০টি প্রতিষ্ঠান তাদের পরিবেশগত এবং সামাজিকভাবে তাদের কর্মক্ষমতা প্রমাণ করেছে। তালিকায় স্থান পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টেকসই বিশ্ব গড়তে কাজ করেছে। ক্যাম্পাসের বাইরে প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের প্রভাবে জোর দিয়েছে। তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৩৪টি, যুক্তরাজ্য ৬৭টি, চীনে ৩৯টি, জার্মানির ৩৬টি, অস্ট্রেলিয়ার ৩৪টি এবং ইতালি ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
কিউএস র্যাংকিংয়ে স্থান পেতে পরিবেশগত প্রভাব বিভাগে তিনটি কর্মক্ষমতা সূচক মূল্যায়ন করা হয়েছে। টেকসই প্রতিষ্ঠান, টেকসই শিক্ষা এবং টেকসই গবেষণা। এছাড়া সামাজিক প্রভাব বিভাগ পাঁচটি সূচক বিবেচনা করা হয়েছে। তা হলো- সমতা, জ্ঞান বিনিময়, শিক্ষার প্রভাব, কর্মসংস্থান এবং সুযোগ এবং জীবনের মান।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কিউএস র্যাংকিং ২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশনের সঙ্গে যৌথভাবে ‘সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের’ তালিকা প্রকাশ করছিল; ২০১০ সালে আলাদা হয়ে যায় কিউএস। স্থায়িত্বের বৈশিষ্ট্যে প্রকাশিত এবারের এ তালিকায় দেশের হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা হয়নি।
প্রকাশিত তালিকায় স্থান পাওয়া বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিশ্ববিদ্যালয় হলো- ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলি, টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়, দ্যা ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়ালেস, সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়, টোকিও ইউনিভার্সিটি, পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়, দ্যা ইউনিভার্সিটি অব অক্টাল্যান্ড।
Discussion about this post