বিশেষ প্রতিবেদক
প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের যাতে ভয়াবহ সেশনজটে পড়তে না হয় সে জন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়কে অনলাইনে একাডেমিক কার্যক্রম চালানোর আহবান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
ইউজিসির এ আহবানে সাড়া দিয়েছে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়। তবে বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় এ আহবানে সাড়া দেয়নি। কমিশনের সর্বশেষ তথ্য মতে, সারাদেশে ৯৫টি বেসরকারি ও ৪৬টি সরকারি— মোট ১৪১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-কার্যক্রম চলমান থাকলেও ৬৫টিতে অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি সরকারি ও ৫২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বাকি ৭৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইনে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করেনি।
অনলাইন পাঠদান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কেমন, কবে থেকে শুরু করা হয়েছে, কতজন শিক্ষক ক্লাস নিচ্ছেন— এসব তথ্য সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে চাওয়া হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে। এ সংক্রান্ত তথ্য পাঠাতে ইউজিসি থেকে দু’দফায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চিঠি দেয়া হয়।
চিঠির ভিত্তিতে ১৩টি সরকারি ও ৫২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের কাছে তথ্য সরবরাহ করে।
তিনি আরও বলেন, অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে বাসায় বসে আছেন। তারা শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন পাঠদান কার্যক্রম গ্রহণ করেননি। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্য পাঠানো হয়েছে তা সমন্বয় করে আগামী রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তবে এর মধ্যে যদি কেউ নতুন করে এ সংক্রান্ত তথ্য পাঠান তাও যুক্ত করা হবে।
গত মাসের শেষের দিকে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দেওয়া কমিশনের এক চিঠিতে অনলাইনে একাডেমিক কার্যক্রম চালানোর আহবান জানানো হয়। পরে কমিশন থেকে বলা হয়, বাংলাদেশ গবেষণা ও শিক্ষা নেটওয়ার্ক (বিডিরেন)-এর ডেটা সেন্টারের জুম অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে বিনা খরচে অনলাইন কার্যক্রম চালানো সম্ভব।
ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিডিরেনের ডাটা সেন্টার ব্যবহার করে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী উভয়েরই শুধুমাত্র ডেক্সটপ কম্পিউটার/ল্যাপটপ অথবা স্মার্টফোন এ তিনটির যে কোনো একটি এবং স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহারের মাধ্যমে স্বাভাবিক শ্রেণিকক্ষের মতো পাঠদান ও পাঠগ্রহণ কার্যক্রম চালাতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে ই-মেইলের মাধ্যমে বিডিরেনের সাপোর্ট সেন্টারে যোগাযোগ করতে হবে। ই-মেইলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের মোবাইল নম্বরসহ বিস্তারিত পরিচয় দিতে হবে এবং ই-মেইলের কপিতে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে রাখতে হবে। বিডিরেন হতে ই-মেইলটির সত্যতা যাচাই করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ তৈরির বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে বিষয়টি অবহিত করা হবে। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্যে বিডিরেনের সাপোর্ট সেন্টারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
Discussion about this post