আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা ও ইউরোপ। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মস্কো থেকে তেল ও গ্যাস আমদানির ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করা। এতে পশ্চিমা দেশগুলোতে নজিরবিহীন মুদ্রাস্ফীতি সৃষ্টি হয়েছে। পার্স টুডের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
রেডিও ফ্রান্স জানিয়েছে, ফ্রেঞ্চ কনফেডারেশন অব স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজের (সিপিএমই) গবেষণায় দেখা গেছে, এসব সংস্থার মধ্যে মাত্র এক তৃতীয়াংশ পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
সরকারের সহায়তার প্রতিশ্রুতির আগে শতকরা মাত্র ৯ ভাগ কোম্পানির পরিচালক কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলেন। শুধু বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে অক্ষমতার কারণে তা বন্ধ করার চিন্তা করেন তারা।
ফরাসি দৈনিক লা-ফিগারো পরিচালিত গবেষণাটি ২ হাজার ৪২৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকের ওপর চালানো হয়। তাতে দেখা গেছে, এদের মধ্যে ২১ শতাংশ মালিকের জ্বালানি খরচ ২০২১ এবং ২০২২ সালে মোট টার্নওভারের ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০২৩ সালে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ শতাংশে পৌঁছাবে।
ফ্রান্স রেডিও আরও জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কয়েক মাস আগে থেকে মুদ্রাস্ফীতি এবং জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পায়। ফলে কোম্পানিগুলোর সামগ্রিক খরচ আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে।
Discussion about this post