নিজস্ব প্রতিবেদক
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব-২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ,বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির শর্ত নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যেকোনও বয়সে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান, নিজের দেশের বেলায় এত প্রতিবন্ধকতা কেন?
একবারের বেশি দেয়া যাবে না, দুই বারের বেশি দেয়া যাবে না, নির্দিষ্ট বয়সের পরে আসা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে এসব দেয়ালগুলো অবশ্যই তুলে দিতে হবে। আমরা তো বলছি জীবনব্যাপী শিক্ষা। তাই যদি হয়, যেকোনও শিক্ষায় যেকোনও মানুষ আসতেই পারে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পাঁচ-ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার মধ্যে এসেছে। এটি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের অর্থ সাশ্রয়, তাদের হয়রানি কমাতে প্রয়োজন। আমরা তো নানান কিছু নিয়ে পাশ্চাত্যের দিকে তাকিয়ে থাকি। এখান থেকে পাস করে আমাদের দেশের মেধাবীরা সেসব দেশে পড়তে যান, গবেষণা করতে যান, আবার ফিরেও আসেন। সেসব দেশে ভর্তি হতে গেলে একটি মাত্র পরীক্ষা দিয়ে হার্ভার্ডে যেতে পারেন, এমআইটিতেও যেতে পারেন, একটি কমিউনিটি কলেজেও যেতে পারেন—তাহলে আমাদের দেশে একটি পরীক্ষা দিয়ে কেন সব বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনও বিভাগে ভর্তি হওয়া যাবে না? সেখানে কেন এত মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে? ’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা বলছি শিক্ষা হবে এখন জীবনমুখী। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় দেশের জনগণের টাকায় চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার দেওয়ালগুলো তুলে দিতে হবে। যেকোনো বয়সে, যেকোনো মানুষের শিক্ষার অধিকার আছে। তিনি কিন্তু পরীক্ষা দিয়েই তার যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেই এখানে পড়তে আসবেন। তার বয়স কুড়ি না পঞ্চাশ সেটিতো বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত নয়।’
যেকোনও বয়সে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে লেখাপড়ার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, যেখানে মুক্তবুদ্ধি, মুক্তচিন্তা চর্চার জায়গা করে দিয়েছেন জাতির পিতা, সেখানে মুক্তবুদ্ধির চর্চার বদলে বন্ধ করে দিচ্ছি দরজা? মনের দরজা জানালাগুলো একটু খুলে দিন। শিক্ষা গ্রহণের পথকে সুগম করি।’
Discussion about this post