অনলাইন ডেস্ক
নতুন একটি উল্কার সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই উল্কাকে পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করছেন তারা। উল্কার নাম ‘২০২২ এপি৭’। পৃথিবীর কক্ষপথকে ‘ক্রস’ বা অতিক্রম করছে এই উল্কাটির কক্ষপথ। ভবিষ্যতে পৃথিবীর সঙ্গে উল্কাটির সংঘর্ষ ঘটার আশঙ্কা রয়েছে বলে মত দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও তা শুধুমাত্র আশঙ্কা, এটি সত্য হবে এমনটা বলছেন না তারা। যদি তেমনটা হয়ও, অনেক অনেক সময় পরে বলেই আশ্বস্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। আপাতত এই নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার খুব একটা কারণ নেই বলেও জানিয়েছেন তারা।
সূর্যের রশ্মির তেজ অতিক্রম করে যেকোন রকমের গবেষণামূলক কাজ চালানো বিজ্ঞানীদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। উল্কাটি ১.৫ কিলোমিটার চওড়া।
‘২০২২ এপি৭’-এর পাশাপাশি আরো দুইটি উল্কারওসন্ধান পাওয়া গেছে একই সঙ্গে। সেই দুইটিও পৃথিবীর নিকটবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দা। যার মধ্যে একটি এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত হওয়া সূর্যের সবচেয়ে কাছের উল্কা বলে জানানো হয়েছে। তবে পৃথিবীর জন্য অন্তত এই দু’টির কোনওটিই ‘ক্ষতিকর নয়’ বলে জানানো হয়েছে। আতঙ্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ‘২০২২ এপি৭’।
এই গবেষণাটি নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্য অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল জার্নাল’-এ। রিপোর্টের মূল লেখক, কার্নেগি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স-এর স্কট শেফার্ডের বক্তব্য, ‘‘২০২২ এপি৭ পৃথিবীর কক্ষপথের উপর দিয়ে যাবে। যে কারণে পৃথিবীর কাছে তা শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বর্তমানে বা ভবিষ্যতে পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটার মতো এই উল্কার গতিপথে বদলের পরিস্থিতি তৈরি হবে কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট প্রমাণ মেলেনি।’
উল্লেখ্য, আট বছরে আবিষ্কার হওয়া মহাকাশীয় বস্তুগুলির মধ্যে ‘২০২২ এপি৭’ সবচেয়ে বড় মাপের তো বটেই, পৃথিবীর জন্য সম্ভবত সবচেয়ে ক্ষতিকরও, এমনটাই মত বিজ্ঞানীদের।
বর্তমান কক্ষপথের ধারা অনুযায়ী, সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে পাঁচ বছর লাগে এই উল্কার। বর্তমান পরিস্থিতিতে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে এলেও তার থেকে এই উল্কার দূরত্ব থাকবে বেশ কয়েক লক্ষ কিলোমিটার।
ঘটনাক্রমে যদি পৃথিবীর সঙ্গে উল্কাটির ধাক্কা লাগে তাহলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যে ধুলা ছড়িয়ে পড়বে তার প্রভাবে বিলুপ্তির পথে এগিয়ে যেতে পারে একাধিক প্রজাতি। যদিও আগামী শতাধিক বছরের মধ্যে তেমন ঘটনা ঘটার আভাস নেই বলেই আশ্বাস দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র: আনন্দবাজার
Discussion about this post