নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মাত্র ১৯ নম্বর পেয়েও ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন এক পরীক্ষার্থী। সেইসঙ্গে বিশেষ বিবেচনায় খেলোয়াড় কোটায় তিনজন এবং পোষ্য কোটায় দুজনসহ পাঁচ ভর্তিচ্ছুকে ভর্তির সুযোগ দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) ভর্তি কমিটি সূত্রে ছয় শিক্ষার্থীকে সুপারিশের এই তথ্য জানা গেছে। এর আগে গত রোববার ভর্তি উপ-কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
সুপারিশপ্রাপ্ত ভর্তিচ্ছুরা হলেন- মো. রিফাত হোসাইন আশিক, মো. আশরাফুল হক, নৌখা নায়েল ত্রিপুরা, অনিক দাস, সুমাইয়া আক্তার বিথি ও আতিকুর রহমান। এর মধ্যে শুধু সুমাইয়া আক্তার বিথি ন্যূনতম পাস নম্বর ৪০ এর বেশি পেয়েছেন।
সূত্রমতে জানা যায়, সুমাইয়া আক্তার বিথি ও আতিকুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলের ডায়নিং কর্মচারীর সন্তান। ভর্তির বিধি অনুযায়ী তারা পোষ্য কোটার অন্তর্ভূক্ত নয়। তাদেরকে পোষ্য কোটার অন্তর্ভূক্ত করে বিশেষ বিবেচনায় ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বিথির ‘এ’ ইউনিটে (৬৩৪৭১) প্রাপ্ত নম্বর ৬০.৬০। মেধা তালিকায় তার অবস্থান ২৪৯৭। ‘বি’ ইউনিটে (৭৭৮৯২) পেয়েছেন ৪৮.৭৫। এই ইউনিটে তার অবস্থান ১০৪২। অপরদিকে ‘বি’ ইউনিটে ৭২০২৮ রোলধারী আতিকুর রহমানের প্রাপ্ত নম্বর ৩০।
শরীর চর্চা শিক্ষা বিভাগের পরিচালক এম আসাদুজ্জামান বাকি চারজনকে ভর্তির জন্য সুপারিশ করেছেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশেষ বিবেচনায় তাদেরকে ভর্তির সুযোগ দেয়। তাদের মধ্যে ‘বি’ ইউনিটের ৭৭০৯৪ রোলধারী রিফাত হোসাইন আশিকের প্রাপ্ত নম্বর মাত্র ১৯.৩৫ এবং ৭৭৭৮৭ রোলধারী অনিক দাস পেয়েছেন ২৬.২৫।
অন্যদিকে ‘এ’ ইউনিটের নৌখা নায়েল ত্রিপুরা ভর্তি পরীক্ষায় পেয়েছেন ৩৭.৬৫ নম্বর এবং একই ইউনিটের আশরাফুল হক পেয়েছেন ৩৪.২৫ নম্বর। তাদের জন্য কোনো ধরনের কোটা না থাকলেও খেলোয়াড় বিবেচনায় তাদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি উপ-কমিটির প্রধান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘ভর্তি কমিটির সবার সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই তারা ভর্তির সুযোগ পাবে।’
Discussion about this post