নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের দাপ্তরিক নাম ব্যবহার করে ভুয়া পত্র পাঠানোর মাধ্যমে কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টিউশন ফি’র অর্থ অবৈধভাবে হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ট্রাস্ট।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির স্কিম পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুল হক সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, একটি প্রতারকচক্র সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের দাপ্তরিক নাম ব্যবহার করে ভুয়া পত্র পাঠানোর মাধ্যমে কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টিউশন ফি’র অর্থ অবৈধভাবে হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় বাস্তবায়নাধীন সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি অনলাইনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বরে টিউশন ফি’র অর্থ পাঠায় বিধায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টিউশন ফি’র অর্থ ফেরত নেওয়া বা অন্য কোনো অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার নির্দেশনা প্রদানের কোনো অবকাশ বা সুযোগ নেই।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট বা সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি হতে একক কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে সরাসরি পত্র পাঠানো হয় না। এরূপ পত্র কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পেয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বা প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ওয়েবসাইট (www.pmeat.gov.bd) এর নোটিশ বক্স অথবা কর্মসূচির কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি ফোনে, দাপ্তরিক ই-মেইলে ও ডাকযোগে পত্র পাঠিয়ে এবং দাপ্তরিক যোগাযোগের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক কোনভাবেই কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা মোবাইল অ্যাকাউন্ট অথবা নগদ আকারে অর্থ প্রদান থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
বিষয়টি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবহিতকরণসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন এবং প্রতারকচক্রকে চিহ্নিত করার মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
Discussion about this post