নিজস্ব প্রতিবেদক
জন্মগতভাবেই দুই হাত এক পা বিহীন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন সেই তামান্না আক্তার নুরা সুযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রতিবন্ধী কোটায় পরিক্ষা না দিয়েও গুচ্ছপরীক্ষা-২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ‘ক’ ইউনিটে উত্তীর্ণ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (০৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ওয়েবসাইটে গুচ্ছের ‘ক’ ইউনিটের ফল প্রকাশিত হয়। গুচ্ছ পরীক্ষায় পাসের হার ছিলো ৫৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ। প্রকাশিত ফলাফলে তামান্না অর্জন করেছেন ৪৮.২৫ নাম্বার।
গতকাল সোমবার যবিপ্রবির কোটার মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। মেধাতালিকায় নাম আসে তামান্নার। আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি যবিপ্রবিতে ভর্তি হতে পারবেন।
ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়ে তামান্না বলেন, ‘আমি অনেক আনন্দিত স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাচ্ছি। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।’
তামান্নার বাবা বলেন, তামান্নার স্বপ্ন গবেষণাধর্মী কোনো বিষয়ে পড়াশোনা করে বিসিএস দিয়ে সরকারি চাকরি করার। তিনি তামান্নার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন ।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ১২ ডিসেম্বর তামান্নার জন্ম। তামান্নার বাবা রওশন আলী ঝিকরগাছা উপজেলার দাউলিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার (ননএমপিও) শিক্ষক। মা খাদিজা পারভীন গৃহিণী। তিন ভাইবোনের মধ্যে তামান্না সবার বড়। ছোট বোন মুমতাহিনা রশ্মি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ভাই মুহিবুল্লা তাজ প্রথম শ্রেণিতে। ছয় বছর বয়সে তামান্নাকে পায়ে কাঠি দিয়ে লেখানোর চেষ্টা করে তার পরিবার। গেল বছরে এইচ এসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়ার পরে গত ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করাসহ দুটি স্বপ্নের কথা জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন তামান্না। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ফোন দিয়ে তামান্নাকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহেনা। একইসঙ্গে দুই বোন তামান্নার স্বপ্ন পূরণে যেকোনো সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
Discussion about this post