নিজস্ব প্রতিবেদক
২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ গবেষণা অনুদান পেয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ১২জন শিক্ষক। মনোনীত গবেষকদের প্রতিটি গ্রুপ প্রকল্প অনুযায়ী দুই থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনুদান পাবেন।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র আইচ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
মনোনীত শিক্ষকরা হলেন, বায়োলজিক্যাল সায়েন্স গ্রুপে বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ড. খসরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. একেএম নাজমুল হুদা ও সহকারী অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম। ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অ্যাপ্লাইড সায়েন্স গ্রুপে গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান ও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম। ইন্টার-ডিসিপ্লিনারি গ্রুপে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ইব্রাহিম আব্দুল্লাহ ও সহযোগী অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান।
এ ছাড়া মেডিকেল সায়েন্স গ্রুপে বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুধাংশু কুমার বিশ্বাস ও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম জহুরুল ইসলাম। ফিজিক্যাল সায়েন্স গ্রুপে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং(ইইই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল-মাসুদ এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইফফাত আরা মনোনীত হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচির খাত থেকে মোট ৬৮২টি গবেষণা প্রকল্পের অনুদানে নির্বাচিত গবেষকদের নামসহ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন বিভাগের মোট ১২জন শিক্ষক পাঁচটি গ্রুপে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত গবেষকদের গ্রুপসমূহ যথাক্রমে আড়াই লাখ, দুই লাখ, আড়াই লাখ, পাঁচ লাখ এবং তিন লাখ করে অর্থ গবেষণা অনুদান পাবেন।
মনোনীত গবেষক ও জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। আমাদের মোট ১২জন শিক্ষক ৬টি প্রজেক্টের আওতায় কাজ করবেন। এতে একজন প্রধান গবেষক এবং তার সঙ্গে একজন সহকারী গবেষক হিসেবে কাজ করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, নির্বাচিত গবেষকদের অভিনন্দন জানাই। আমাদের শিক্ষকরা আাগমীতে যেন আরো বেশি মনোনীত হোক এটাই প্রত্যাশা।
উল্লেখ্য, ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছর থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ বিষয়ক গবেষণার জন্য এ অনুদান প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়।
Discussion about this post