নিজস্ব প্রতিবেদক
যে বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তি হওয়ার সুযোগ হয়নি, সেটার চ্যান্সেলর হিসেবে এখন দায়িত্ব পালন করছি আমি। তবে আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুসরণ করেই রাজনীতি করেছি। দেশও স্বাধীন করেছি।
আজ শনিবার ( ১৯ নভেম্বর ) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, এটা আমার শেষ সমাবর্তন। আগামী বছরের মার্চে আমার ২য় মেয়াদে রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হবে। এরপর হয়তো আরও যোগ্যতাসম্পন্ন রাষ্ট্রপতি নিয়োগ পাবেন।
শুধুমাত্র উচ্চ শিক্ষার একটি প্রতিষ্ঠান নয়, দেশের নেতৃত্বের প্রতীক এবং ভাষা আন্দোলন, মুক্তিসংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির প্রতিটি আন্দোলনের নিউক্লিয়াস হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অভিহিত করেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আরো বলেন, এক সময়ের প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জাতির প্রত্যাশা অনেক, আর তা পূরণে বিশ্ববিদ্যালয়কে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
রাষ্ট্রপতি মনে করিয়ে দেন ,যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশকে নেতৃত্ব প্রদানকারী অনেক নেতাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষায় আলোকিত হয়েছেন।
তিনি স্নাতক ডিগ্রিধারীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, গ্রাজুয়েটবৃন্দ যেন সমাবর্তন আর সার্টিফিকেটেই সীমাবদ্ধ না থাকেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখতে হবে। সত্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে স্নাতক ডিগ্রিধারীরা প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অধিকতর কার্যকর অবদান রাখবেন বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমাবর্তন বক্তা নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. জঁ তিরোল। সমাবর্তনে তাঁকে সম্মানসূচক ডক্টর অব লজ ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
৫৩তম সমাবর্তনে ৩০ হাজার ৩৪৮ জন গ্র্যাজুয়েট ও গবেষক অংশ নিয়েছেন। অনুষ্ঠানে ১৩১ জন কৃতী শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীকে ১৫৩টি স্বর্ণপদক, ৯৭ জনকে পিএইচডি, ২ জনকে ডিবিএ এবং ৩৫ জনকে এম ফিল ডিগ্রি প্রদান করা হয়। অধিভুক্ত সাত কলেজের রেজিস্ট্রেশন করা গ্রাজুয়েটরা ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজ ভেন্যু থেকে সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এসএম মাকসুদ কামাল, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post