খেলাধূলা ডেস্ক
১৩ মিনিটের মধ্যে তিনবার সৌদি আরবের জালে বল ঢুকিয়েছিলেন লিওনেল মেসিরা। কিন্তু তিনবারই বাতিল হয়ে গেছে সেই গোল। কারণ, অফসাইডের ফাঁদে পা দিয়েছেন স্ট্রাইকাররা। একই দৃশ্য ডেনমার্ক বনাম তিউনিশিয়া ম্যাচেও। দুই দলেরই একটি করে গোল বাতিল হয়েছে অফসাইডে। কেন বার বার অফসাইডের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ছেন ফুটবলাররা? এটা কী খেলোয়াড়দের ভুল? না কি প্রযুক্তি আরও উন্নত হয়েছে?
কাতার বারের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচেই ১০টি অফসাইড করেছে আর্জেন্টিনা। চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে গোটা প্রতিযোগিতায় ৬ বার অফসাইডের জালে জড়িয়েছিলেন মেসিরা। অর্থাৎ, শুধু গোলের ক্ষেত্রে নয়, ম্যাচে সাধারণ অফসাইডও বেশি চোখে পড়ছে। তার একটা বড় কারণ প্রযুক্তির উন্নতি।
ফিফা জানিয়েছে, কাতার বিশ্বকাপে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ কম দিতে চান তারা। তার জন্য সব রকম প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ফুটবলে বসানো থাকছে চিপ। সেখান থেকে প্রতি মুহূর্তে তথ্য চলে যাচ্ছে দায়িত্ব থাকা কর্মীর কাছে। বিশ্বকাপের আগে লাইন্সম্যানদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে যাতে অফসাইডের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক থাকতে পারেন তারা।
এছাড়াও রয়েছে ভার (ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি)। সারাক্ষণ বিভিন্ন ক্যামেরা থেকে তারা নজর রাখছেন খেলায়। অফসাইড হলেই রেফারির কাছে খবর চলে যাচ্ছে। লাইন্সম্যান ভুল করলেও রেহাই নেই। আর্জেন্টিনার একটি গোল ভার প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে বাতিল করেছেন রেফারি। এই প্রযুক্তির গেরোয় আটকে যাচ্ছেন ফুটবলাররা। তাই হয়তো এত অফসাইড দেখা যাচ্ছে এ বারের বিশ্বকাপে।
২২ মিনিটের মাথায় সৌদি আরবের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। জালে বল জড়ান মেসি। কিন্তু লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা তোলেন। পাঁচ মিনিট পরে আরেকটি গোল করেন আর্জেন্টিনার লাউতারো মার্তিনেজ। প্রথমে গোল দিয়ে দেন রেফারি। কিন্তু পরে ভার প্রযুক্তির সাহায্যে দেখা যায় অফসাইডে ছিলেন মার্তিনেজ, তাই গোলটি বাতিল হয়। ৩৪ মিনিটের মাথায় মেসির পাস থেকে আবার গোল করেন মার্তিনেজ। কিন্তু সেটিও অফসাইডের কারণে বাতিল করেন রেফারি।
এদিকে পরের ম্যাচে ২৪ মিনিটের মাথায় ডেনমার্কের জালে বল জড়ান তিউনিশিয়ার জাবেলি। কিন্তু তার গোল অফসাইডে বাতিল হয়। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৬ মিনিটের মাথায় ডেনমার্কের হয়ে গোল করেন ওলসেন। কিন্তু সেটিও বাতিল হয় অফসাইডে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
Discussion about this post