খেলাধূলা ডেস্ক
কানাডা কোচ জোহান হার্ডম্যান ফিফাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন নাকি ‘মোটিভেশনাল স্পিচ’ তা বোঝা কিন্তু কঠিন। তার মতে, কাতারে বিশ্বকে বিস্মিত করতে এসেছে কানাডা। মাঝামাঝি কিন্তু চান না তিনি। তারা স্বপ্ন দেখেন বড় কিছুর। আসরের ফেবারিট বেলজিয়ামের বিপক্ষে কথা মতোই খেলেছে হার্ডম্যানের কানাডা। তবে ম্যাচ হেরেছে ১-০ গোলে।
শুরু থেকেই আক্রমণ করে খেলতে থাকে কানাডা। ১৯৮৬ সালের পর বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়া দলটি গত আসরের সেমিফাইনালে খেলা বেলজিয়ামকে কোনঠাসা করে ফেলে। এক আক্রমণ থেকে ম্যাচের ৮ মিনিটে পেনাল্টিও আদায় করে নেয়। ভিএআর চেকে পেনাল্টি নিশ্চিত হলেও গোল করে এগিয়ে যাওয়া নিশ্চিত করতে পারেননি বায়র্ন মিউনিখে খেলা দলটির সেরা তরুণ তারকা আলফনসো ডেভিস।
তাকে হতাশ করেন বর্তমান সময়ের সেরা গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। ওই ভুল প্রথমার্ধের শেষ সময়ে প্রকট হয়ে ওঠে। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে লম্বা করে বাড়ানো বল ধরে গোল করেন রোমেলু লুকাকুর ইনজুরিতে স্ট্রাইকার পজিশনে খেলা মিচি বাতসুয়ায়ি। কানাডা ওই গোল শোধ করার চেষ্টা করেছে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত। আর বেলজিয়াম একের পর এক আক্রমণ রুখে গেছে।
পজিশন ধরে খেলতে পছন্দ করা বেলজিয়াম ম্যাচে ৫৩ শতাংশ বল পায়ে রেখেও কানাডার গোল মুখে আক্রমণ করতে পেরেছে পাঁচটি। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে অবশ্য আর এক-দুটি গোল পেয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকতো না। কিন্তু বাতসুইয়ি সুযোগ গুলো কাজে লাগাতে পারেননি।
একের পর এক আক্রমণ তুলে গোল করতে পারেনি কানাডাও। একজন ‘জাত স্ট্রাইকারের’ অভাব বোধ করেছে তারা। গোলে নেওয়া দুটি শট ও একটি হেড হয়তো থিবো কর্তোয়া ফিরিয়েছেন। কিন্তু কানাডা ১১টি আক্রমণ করেও একটা ফিনিশিং টানতে পারেনি। মন জয় করা ফুটবল খেললেও তরুণ দল নিয়ে বিশ্বকাপে আসা কানাডার তাই হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে।
Discussion about this post