শিক্ষার আলো ডেস্ক
নানা অসঙ্গতি ও অনিয়মের অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নতুন করে জনবল নিয়োগ স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
নতুন জনবল নিয়োগের ব্যাপারে তথ্য যাচাইয়ের জন্য ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠন করেছে কমিশন। এ কমিটি সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইউজিসিতে পাঠানো জনবল নিয়োগের চাহিদার যৌক্তিকতা ও প্রয়োজনীয়তা যাচাই-বাছাই করে নতুন জনবল নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের বেতন বাড়ানোতে কোনো অনিয়ম হয়েছে কিনা সে বিষয়সহ নানা অনিয়মের ব্যাপারেও খতিয়ে দেখবে এ কমিটি।
গত ৯ নভেম্বর ইস্যুকৃত কমিশনের সদস্য ও ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ সূত্রে এ সব তথ্য জানা যায়।
কমিটিতে কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগমকে আহ্বায়ক ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মৌলি আজাদকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
ছয় সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্য চার সদস্য হলেন- ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের, সচিব ড. ফেরদৌস জামান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ইউসুফ আলী খান এবং অর্থ ও হিসাব বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (অডিট) রবিউল ইসলাম।
অফিস আদেশে থেকে জানা যায়, নতুন করে জনবল নিয়োগের চাহিদা যাচাই-বাছাই ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত অর্গানোগ্রাম, বিদ্যমান জনবল ও জনবল সংক্রান্ত আর্থিক নথিপত্র এবং সরকার ও ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদিত নীতিমালা পর্যালোচনা করে মতামত দেবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট নথিপত্র পর্যবেক্ষণ এবং ব্যক্তিবর্গের সাক্ষাৎকার গ্রহণপূর্বক কমিটি জনবল ছাড়করণের বিষয়ে শিগগিরই সরেজমিন পরিদর্শন করে মতামত প্রদান করবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সদস্য ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি বেতন স্কেল ভায়োলেশন করে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্কেল পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রত্যেককে একের অধিক ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অনেকদিন ধরে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ নিয়েও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এসব কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে জনবল নিয়োগ দেওয়া স্থগিত আছে। চলতি মাসের শেষের দিকে ইবিতে একটা পরিদর্শন টিম যাবে। তবে পূর্বে অনুমোদন দেওয়া নিয়োগ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ. এম. আলী হাসান বলেন, ‘আমরা চিঠি পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন যে ছয় সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করে দিয়েছেন ওনারা আগামী ২৮ নভেম্বর পরিদর্শনে আসবেন।’
Discussion about this post