নিউজ ডেস্ক
কোভিড-১৯ জনীত লকডাউনে নগরবাসীর দোরগোড়ায় ডাক সেবা পৌঁছে দিতে ভ্রাম্যমান ডাকঘরের কার্যক্রম গতকাল ২৭ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে।রাজশাহী ও খুলনা মেট্রোপলিটন শহরেও একই সাথে দুইটি ভ্রাম্যমান ডাকঘর চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী ভ্রাম্যমান ডাকঘর চালু করা হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সোমবার ( ২৭ এপ্রিল )তার বেইলী রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ঢাকায় জিপিও চত্বরে টেলিসংযোগের মাধ্যমে ৯টি ভ্রাম্যমান ডাকঘরের উদ্বোধন করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এর নির্দেশে ঢাকা মেট্রোপলিটন শহরের লকডাউনের আওতাভুক্ত এলাকায় জনগণের দোরগোড়ায় ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র, জরুরী চিঠিপত্র, ঔষধপত্র ও করোনা চিকিৎসা সংক্রান্ত উপকরণ, পার্সেল, ডিজিটাল কমার্স, ইএমটিএস ও ডাক জীবন বীমা সেবা প্রদানের লক্ষে্য এই সেবা চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নূর-উর-রহমান এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন। ঢাকা জিপিও চত্ত্বরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো: আজিজুল ইসলাম এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্রসহ ডাক অধিদপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
কোভিড -১৯ এর প্রাদুর্ভাবজনিত সরকার ঘোষিত ছুটিকালীন সময়ে ডাক অধিদপ্তর গত ২৮ মার্চ থেকে অদ্যাবধি জনসাধারণের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সাত লক্ষ পঞ্চাশ হাজার গ্রাহককে ডাক সেবা প্রদান করা হয়েছে এবং এক হাজার দুই শত কোটি টাকার লেনদেন সম্পন্ন করা হয়েছে।
সরকার ইতোমধ্যে টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবার পাশাপাশি ডাক সেবাকে জরুরী পরিষেবা হিসেবে ঘোষণা করে। এর ফলে জিপিও, জেলা পর্যায়ের প্রধান ডাকঘর, শহরস্থ সাব পোস্ট অফিস এবং সীমিত পরিসরে গ্রামীন ডাকঘর খোলা রয়েছে।
Discussion about this post