নিজস্ব প্রতিবেদক
সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে পদ সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর শিক্ষক শূন্য পদের সংখ্যা নির্ণয় করে শিক্ষক নিয়োগে পদ সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ৩২ হাজার ৫৭৭টি পদের সঙ্গে আরও ১০ হাজার পদ যুক্ত করা হতে পারে।
সে জন্যই সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফল আগামী ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, আমরা স্টাডি করছি, কি পরিমাণে সহকারী শিক্ষকদের পদ শূন্য রয়েছে। তার ভিত্তিতে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত পদের চাইতে এ সংখ্যা বাড়ানো হবে।
তিনি বলেন, এ নিয়োগ পরিচালনায় গত দুই বছর সময় পার হয়েছে। শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করা অনেকে বিভিন্ন জায়গায় ভালো চাকরি করছেন। সবগুলো বিষয় নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করছি। দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদের সংখ্যা নির্ণয় করে শিক্ষক নিয়োগে পদ সংখ্যা বাড়াতে কাজ করা হচ্ছে।
সর্বশেষ শূন্য সব পদে নিয়োগ দেওয়া বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা স্টাডি করছি। আমরা শূন্য পদ ধরবো, না কী চলতি বছরের ২২ জুন ধরবো, নাকি জানুয়ারি পর্যন্ত ধরবো তা নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এর ওপরে সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় কি পরিমাণে শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে এগুলো নিয়ে কাজ করছি। আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের কাজ শেষ হবে। ১৪ ডিসেম্বর শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯-এর ৮ ধারার ২ নম্বর উপধারার (ঘ)-তে বলা হয়েছে, নির্ধারিত কোটার শিক্ষকদের মধ্যে প্রত্যেক ক্যাটাগরিতে (নারী ৬০ শতাংশ, পোষ্য ২০ শতাংশ ও অবশিষ্ট পুরুষ) অবশ্যই ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তবে শর্ত থাকে, এভাবে ২০ শতাংশ কোটা পূরণ না হলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া যাবে।
জানা গেছে – এ নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেওয়া হলেও চূড়ান্ত ফল একবারেই প্রকাশ করা হবে। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন।
Discussion about this post